খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী রবিবার থেকে রাজশাহীতে ১০ টাকা কেজি দরে ফেয়ার প্রাইজ ও ৩০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি শুরু হবে। এতে বাজারে চালের দর নিম্নমুখী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে রবিবার থেকে সারা দেশে ওএমএস-এ স্বল্প দামে চাল বিক্রি শুরু করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদপ্তর। প্রতি ডিলার ১ টন করে চাল বরাদ্দ পাবেন।
একজন ব্যক্তি সর্বাধিক ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। প্রতি কেজি চালের মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৩০ টাকা। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ওএমএস-এ ১৭ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করছে খাদ্য অধিদপ্তর।
রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবদুস সালাম জানান, বৃহস্পতিবার ১০ টাকা কেজির ফেয়ার প্রাইজে চাল বিক্রির চিঠি তিনি পেয়েছেন। রবিবার থেকে ফেয়ার প্রাইজের ১০ টাকা কেজির চাল পাবে রাজশাহীর ৯ উপজেলার ৭২টি ইউনিয়নের প্রায় ৮৩ হাজার হতদরিদ্র পরিবার। এই পরিবারগুলো প্রতি মাসে ১০ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবে।
এ ছাড়া রাজশাহী মহানগরীতে ওএমএস ডিলাররা আটার পাশাপাশি ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি করবে। এই কার্যক্রম চালু হলে চালের বাজারে এর প্রভাব পড়বে এবং চালের দাম কমে আসবে বলে ধারণা করা যায়। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে কেজিপ্রতি ১০ টাকায় মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস এ চাল বিক্রি হবে। এ কর্মসূচির জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন চাল প্রয়োজন হবে।