Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মার্কিন রাষ্ট্রদূত ‘কুকুরের বাচ্চা’: ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট

mahmud-abbasফিলিস্তিনি নেতাদের এক বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বলেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গতকাল সোমবার রামাল্লায় ফিলিস্তিনি নেতাদের এক বৈঠকে তিনি ওই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ইসরায়েলিরা পশ্চিমতীরে তাদের ‘নিজস্ব ভূমিতে বসতি’ গড়ে তুলছে মন্তব্য করে তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান। তার ওই মন্তব্যে ক্ষিপ্ত আব্বাস বলেন, কুকুরের বাচ্চাটি বলেছে, তারা তাদের নিজেদের ভূমিতে আবাস গড়ে তুলছে। সে নিজে একজন বসতি স্থাপনকারী, তার পরিবারও বসতি স্থাপনকারী, আর এই ব্যক্তিই তেল আবিবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। তার কাছে আমরা আর কী আশা করবো?

chardike-ad

আব্বাসের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফ্রিডম্যান ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

জেরুজালেমে ‘বিশ্বব্যাপী ইহুদিবিদ্বেষ-বিরোধী লড়াই’ বিষয়ক এক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে ফ্রিডম্যান বলেন, তিনি (আব্বাস) আমাকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ অভিহিত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ইহুদিবিদ্বেষ না রাজনৈতিক ডিসকোর্স? এটি আমার বিচার্য নয়, এর দায়িত্ব আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।

এদিকে এক বিবৃতিতে আব্বাসের মন্তব্যকে ‘অত্যন্ত অসঙ্গত’ অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন ‍দূত জেসন গ্রিনব্লাট। তিনি বলেছেন, ঘৃণাপূর্ণ কথাবার্তা অথবা জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করা, এর মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে ফিলিস্তিনি নেতাকে।

রাষ্ট্রদূত ফ্রিডম্যান ইসরায়েলের বসতিস্থাপন পরিকল্পনার একজন দৃঢ় সমর্থক। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পেছেনে প্রথম থেকে জোরালো ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

ট্রাম্পের ৬ ডিসেম্বরের ওই ঘোষণায় ইসরায়েল সরকার খুশি হলেও ফিলিস্তিনিরা ক্ষুব্ধ হয়। তারপর থেকে মার্কিন ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। জেরুজালেমকে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ ও অবিভাজ্য রাজধানী বলে বিবেচনা করে ইসরায়েল। অপরদিকে পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ফিলিস্তিনিরা।