দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার প্রতিযোগিতা প্রবল। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদেরকে ভর্তি করানো হলেও স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তা নিয়ে রয়েছে অভিযোগ। কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে সিউলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। স্থানীয়রা মনে করেন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশই সিউলে অবস্থিত যার মধ্যে সিউল ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়, কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইয়নসে বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। স্থানীয়দেরকে যেখানে এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চরম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয় সেখানে বিদেশী শিক্ষার্থীরা সহজেই এইসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করছে।
২০১৭ সালের এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, কোরিয়াতে অধ্যয়নরত বিদেশী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশিও, যাদের মধ্যে ৬৮ হাজারের মত শিক্ষার্থী চায়নিজ। অনেক কোরিয়ান শিক্ষার্থী অভিযোগ করছেন তাদের প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। যেমন কম গ্রেড পেলেও স্কলারশিপ প্রদান এবং ক্যাম্পাসে হাউজিং শিক্ষার্থীদের বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া অন্যতম।
বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ‘আলিমি’ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে কমপক্ষে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ১ হাজার জনের বেশি বিদেশী শিক্ষার্থী ছিল। যার মধ্যে কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪ হাজার ৩৩৩ জন বিদেশী শিক্ষার্থী ছিল। এরপর রয়েছে যথাক্রমে খিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৬৬৫ জন, ইয়নসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২২৩ জন, সংগিয়ংগোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৭৮৩ জন, জুংআং বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৩৩ জন, হানিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৯৯৭ জন, কনকুক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৯১৪ জন এবং দোংগুক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৭৮৪ জন। ১ হাজারের বেশি বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছিল চাইনিজ শিক্ষার্থী।