Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

north-korea-paradeবাস্তবে কোনো প্রভাব না থাকলেও, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া কিন্তু ১৯৫০ সাল থেকে আজ অবদি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘যুদ্ধাবস্থা’য় রয়েছে। তবে ২৭ শে এপ্রিল দুই কোরিয়ার নেতাদ্বয়ের বৈঠকে এই যুদ্ধাবস্থা ইতি টানার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খবরে বলা হয়, সীমান্তসংলগ্ন পানমুনজম গ্রামে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বৈঠকে বসবেন। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে শীর্ষপর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে শিগগিরই হয়তো উত্তর কোরিয়া সফরে যাবেন দক্ষিণের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।দক্ষিণ কোরিয়া একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেছেন, এই সম্মেলনে উত্তর কোরিয়া নিজের পারমানবিক কর্মসূচি পরিত্যাগের অঙ্গিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করবে বলে তাদের প্রত্যাশা।

chardike-ad

মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা মানহ ইলবো জানিয়েছে, দুই প্রতিবেশী দেশের কর্মকর্তারা আসন্ন সম্মেলনে একটি যৌথ বিবৃতির খুঁটিনাটি নিয়ে দরকষাকষি করছেন। এই যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান যুদ্ধাবস্থার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা থাকতে পারে।

মার্চে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পিয়ংইয়ং-এ সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চপদস্থ একটি প্রতিনিধি দল। ওই সাক্ষাৎ শেষে দেশে ফিরে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে কিম জং উন তাদের কাছে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমানবিক অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, কাগজে কলমে ১৯৫০ সাল থেকেই দুই দেশ যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। কোরিয়ান সংঘাত নামে পরিচিত যুদ্ধটি ওই বছর শুরু হয়ে ১৯৫৩ সালে কার্যত শেষ হয়। কিন্তু ওই যুদ্ধ কোনো শান্তিচুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়নি, বরং অস্ত্রবিরতি হয়েছিল মাত্র।