Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

whatsapp rumarঅত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি অপব্যবহার যে কীভাবে মানুষের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে তার ভারতের দিকে তাকালেই বুঝা যায়।

হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে ছেলেধরার গুজব রটানো হচ্ছে। আর তাতেই নিরপরাধ মানুষদের গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করছে এক শ্রেণির উন্মত্ত লোকজন। এদের হাত থেকে ফেলিওয়ালা থেকে শুরু করে সরকারি লোকজনও রেহাই পাননি।

chardike-ad

ভারতে গত দেড়মাসে অন্তত ১৪জন মানুষকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছে। সর্বশেষ ঘটনাটি হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে। সেখানে ৪ জনকে কেবলমাত্র সন্দেহের বসবতি হয়ে এলাকার লোকজন নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। খবর বিবিসির।

গুজরাট থেকে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশ্যাসহ নানা রাজ্যে গণপিটুনিতে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।

হোয়াটসঅ্যাপের ওই ভিডিওটির উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে সেটি পাকিস্তানের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তৈরি শিক্ষামূলক প্রচার ফিল্মের অংশ।

পুলিশ বলছে, ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গত ২৭ ও ২৮ জুন ছেলেধরা সন্দেহে ৪ জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এদের মধ্যে আছেন সুকান্ত চক্রবর্তী নামে এক যুবকও যাকে সরকার ছেলেধরার গুজব রোধ করতে গ্রামে গ্রামে প্রচারণা চালাতে পাঠিয়েছিল।

একজন নারীকেও ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনতার রোষে পড়ে মারা গেছেন উত্তরপ্রদেশ থেকে ত্রিপুরায় ফেরি করতে আসা এক ব্যক্তিও। গণপিটুনিতে আহত একজন পরে হাসপাতালে মারা যান।

ত্রিপুরা পুলিশের মুখপাত্র ইন্সপেক্টর জেনারেল ক্ষিতিরঞ্জন দাস গণমাধ্যমকে জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছেলেধরার গুজবটা ছড়াচ্ছিল। মানুষ সেই গুজবে বিশ্বাস করে অনেক জায়গাতেই বহিরাগতদের আটকে এ তান্ডব চালিয়েছে।

গুজব ঠেকাতে গত বৃহস্পতিবার থেকে ত্রিপুরায় মোবাইলে এসএমএস আর ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। শুধু ত্রিপুরা নয়, এই একই গুজব গত দেড় মাসে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে।

ভারতে কোটি কোটি মানুষ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনওরকম বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাই নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক দিয়ে তারা অশিক্ষিতই থেকে গেছেন। তারা যা দেখছেন, তাতেই বিশ্বাস করে ফেলছেন। আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপরে নজরদারি কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।