Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে পড়া কিশোরদের আবেগমাখা চিঠি

kishorথাইল্যান্ডের পাহাড়ের গুহায় আটকে পরা কিশোর ফুটবল দলটি উদ্ধারকারীদের সহায়তায় চিরকূট পাঠিয়েছে তাদের বাবা-মার কাছে। আর মৃত্যুর মুখে আটকে পড়া কিশোরদের আবেগঘন এই চিরকূটগুলো প্রকাশের পরই তোলপাড় শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিশ্ব মিডিয়ায়।

দুই সপ্তাহ আগে কিশোরদের ওই ফুটবল দলটি একটি পাহাড়ের গুহা দেখতে যাওয়ার পর বাইরে পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা সেখানে আটকে পড়ে। দলটির সাথে আছে তাদের কোচ এক্কাপল চান্তাওং। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাদের খুঁজে পাওয়া গেলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এখনো। উদ্ধারকারীরা বলছে, কয়েক মাস সময় লাগতে পারে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনতে। উদ্ধারকারীদের সহায়তায় সেই কিশোররা তাদের পরিবারের কাছে হাতে লেখা চিরকূট পাঠিয়েছে। চিরকূটে ফুটে উঠেছে তাদের হৃদয়ের বেদনা, আতঙ্ক আর বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসার কথা। কোচ এক্কাপল অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এই ঘটনার জন্য।

chardike-ad

বিউ ডাক নামের এক কিশোর লিখেছে, ‘চিন্তা করো না বাবা ও মা, আমি দুই সপ্তাহ ধরে তোমাদের কাছ থেকে দূরে আছি; কিন্তু আবার ফিরে আসবো। তোমাদের বেচা-কেনায় সাহায্য করবো।’ প্রসঙ্গত ছেলেটির বাবা একজন দোকানদার।

১৫ বছর বয়সী ফিফাত ফোতি চিরকুটে লিখেছে, ‘মা, বাবা ও ছোটভাইয়ের জন্য ভালোবাসা।’ নিক নামে পরিচিত এই কিশোর আরো লিখেছে, ‘আমি এখান থেকে বের হতে পারলে কি আমাকে কাবাব(গ্রিলড পর্ক) ও সবজি খাওয়াবে?’

ফিরাপত ওরফে নাইট তার পরিবারের উদ্দেশ্যে লিখেছে, ‘বাবা, মা ও আদরের ছোট বোন, তোমাদের সবাইকে খুব ভালোবাসি। আমার ব্যাপারে চিন্তা করো না। তোমাদের সবাইকে ভালোবাসি।’

নিখোঁজ সন্তানের এই চিঠি পরিবারগুলোতে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দুই সপ্তাহ ধরে তারা আটকরা পড়ে আছে এক পাহাড়ের গুহায়। যেখান থেকে উদ্ধার করার পথটিও বিপজ্জনক। নাইটের মা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে, ‘ওর চিঠি পেয়ে খুব খুশি লাগছে, এটি ওরই হাতের লেখা। আমি এটি পাওয়ার পর থেকেই কাঁদছি। যতদিনই লাগুক অপেক্ষা করতে পারবো, শুধু ওরা যেন নিরাপদে ফিরে আসে’।