Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অর্থনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার মন্ত্রিপরিষদ

সিউল, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩:

প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের ফুপা জ্যাং সং থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর অর্থনীতির ওপর উত্তর কোরিয়ার মন্ত্রিসভার নিয়ন্ত্রণ আরো বাড়বে। খনিজ সম্পদসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে মাত্রাতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করে অর্থনীতির ক্ষতি করার অভিযোগ ছিল থায়েকের বিরুদ্ধে। দেশটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা শুক্রবার এসব তথ্য দেন। খবর এএফপির।

chardike-ad

flag-north-korea১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক সেনাপ্রধান জ্যাং সং থায়েকের। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম জং ইলের মৃত্যুর পর থেকেই দেশের প্রধান হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। ইলের পুত্র, বর্তমান প্রেসিডেন্ট উনকে উত্খাতের ষড়যন্ত্রও করতেন তিনি। খনিজ সম্পদসহ অর্থনীতির বড় কয়েকটি খাতে মাত্রাতিরিক্ত প্রভাব ছিল তার। উনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তা ক্রমেই বাড়ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি অংশের ক্ষোভের মুখে ছিলেন তিনি।
জাপানি চসন সিনবো পত্রিকার এক প্রতিবেদনে উত্তর কোরীয় মন্ত্রিপরিষদের মুখ্যসচিব কিম জং হাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, থায়েকের বাড়াবাড়ি হস্তক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোয়।

থায়েকের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হওয়া প্রকল্পগুলোর ওপর মন্ত্রিপরিষদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রিপরিষদ অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণকক্ষ হিসেবে কাজ করে যাবে। উত্তর কোরিয়া নিজেই কয়লা ও অন্যান্য খনিজসম্পদ উত্তোলন এবং প্রক্রিয়াজাত করবে। এক্ষেত্রে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তাদের নির্ভরতা আছে এখন পর্যন্ত।

দক্ষিণ কোরিয়ার ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির তথ্য, ২০১২ সালে উত্তর কোরিয়ার মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের ৮৮ শতাংশই হয়েছে চীনের সঙ্গে। সূত্রঃ বণিকবার্তা।