মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ। তিনি একজন পুলিশ। সুমধুর কোরআন তিলাওয়াতে মুগ্ধ করছেন সবাইকে। এ যেন বিশ্ববরেণ্য প্রশিক্ষিত কোনো কারির তিলাওয়াত! সামাজিকমাধ্যমে তার কোরআন তিলাওয়াতের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। শেয়ারকৃত ভিডিওতে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। পরম করুণাময়ের কাছে তার সাফল্যের জন্য প্রার্থনাও করেছেন অনেকে।
মোহাম্মদ মহিবুল্লাহর সুমধুর কণ্ঠে পবিত্র ঐশি বাণী তিলাওয়াতের ভিডিও শেয়ার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ। রোববার রাত ১১টায় নায়েক মোহাম্মদ মহিবুল্লাহর একটি তিলাওয়াতের ভিডিও পোস্ট করেন তারা। সেই পোস্টের লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার দেখে সোমবার বেলা ১১টায় আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেছে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ।
প্রথম ভিডিওটি পোস্ট করে পেজটি লিখেছে- পুলিশের কঠিন ডিউটির ফাঁকে নায়েক কারি মোহাম্মদ মহিবুল্লাহর কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে পবিত্র কোরআনের বাণী। ভিডিওটিতে দেখা গেছে, মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ একটি পুলিশভ্যানে বসে আছেন। তিনি আল কোরআনের ৩৩ নম্বর সুরা আল আহযাবের ৪০ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করছেন।
ভিডিওটি ইতিমধ্যে ৭১ হাজার বার দেখেছেন নেটিজেনরা। সত্যিই কি এ তার কণ্ঠ? এত বিশুদ্ধ উচ্চারণ ও আরবি মাখরাজের নির্ভুল ব্যবহার তো একজন কারি করতে পারেন! সেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। বাংলাদেশ পুলিশ ফেসবুক পেজ সেসব কমেন্টের প্রতিউত্তরে জানিয়েছেন- এ কণ্ঠ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহরই। তিনি একজন কারি।
তারা আরও জানিয়েছেন, সংসারের প্রয়োজনে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন মাদ্রাসায় পড়ুয়া মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ। শুদ্ধ উচ্চারণে কোরআন তিলাওয়াত শিখতে ঢাকার লালবাগে কারি শায়খ আহমেদ বিন ইউসুফ আজাহারীর নিকট তালিম নিয়েছেন তিনি। তার স্বপ্ন ছিল- একদিন সুমধুর কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াত করে সবাইকে অবাক করে দেবেন।
পুলিশি চাকরির কঠিন ব্যস্ততায়ও থেমে যায়নি তার অদম্য ইচ্ছা। নীরবে-নিভৃতে কোরআন তিলাওয়াতের চেষ্টা করেন মহিবুল্লাহ। মহিবুল্লাহ কোরআন তিলাওয়াত শেখার পেছনে সরকারি ছুটির প্রায় সবটাই ব্যয় করেন বলে জানায় বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ।