Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্নুৎপাত : মৃতের সংখ্যা ১৫, বাড়ার আশঙ্কা

সিউল, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪:

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবাং আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের পর রোববার দেশটির কর্মকর্তারা পুরু ছাইয়ের আস্তরণের ভেতর মৃতদেহের সন্ধানে তল্লাশী চালাচ্ছেন। এ অগ্নুৎপাতে অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ৩০ সেন্টিমিটার পুরু ছাইয়ের স্তরের ভেতর কেউ চাপা পড়ে আছে কিনা তার সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশী চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবারের অগ্নুৎপাতে উত্তপ্ত ছাইয়ে চাপা পড়া কারো জীবিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

chardike-ad

sp01-aDon’t-look-back

কর্মকর্তারা জানান, সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ১৭০ লোক চেনস (এক ধরনের করাত) ও অক্সিজেন নিয়ে সুকামেরিয়াহ্ গ্রামে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। দুর্যোগ কর্মকর্তা ট্রি বুদিয়ার্তো জানান, সিনাবাংয়ের আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে মাত্র ২.৭ কিলোমিটার (১.৭মাইল) দূরে অবস্থিত সুকামেরিয়াহ্ আগ্নেগিরির চারপাশের ‘রেড জোন’ বা বিপজ্জনক এলাকার ভেতর অবস্থিত। গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু তারপরও অনেক পর্যটক গোপনে ওই এলাকায় গিয়ে ছবি তুলছেন।’

ঘটনাস্থল থেকে এএফপি’র এক প্রতিনিধি জানান, উদ্ধারকর্মীদের প্রথম দলটি শনিবার সকালে গ্রামে ঢুকে ১৫ মিনিট পর খালি হাতে বের হয়ে আসেন। গিতো এএফপিকে বলেন, ‘গ্রামটিতে জীবিত মানুষের কোন লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে না। অগ্নুৎপাতে সব শস্য নষ্ট হয়ে গেছে এবং অনেক বাড়িঘর ধবংস হয়েছে। যেগুলো এখনো টিকে আছে সেগুলোও পুরু ছাইয়ের নিচে চাপা পড়ে আছে। ছাইয়ের ভেতর দিয়ে হাঁটা খুবই কষ্ট।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ছাইয়ের ভেতর থেকে হতভাগ্য একজনের ব্যাগ পেয়েছি। কিন্তু তার মৃতদেহ পাইনি। ব্যাগের ভেতর তার মোবাইল ফোনের রিং বাজছিল।’

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরউ নুগরোহো নিখোঁজ লোকদের সংখ্যা জানাতে না পারলেও জানান, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘একটি গাছের কাছে একজনের মৃতদেহ দেখা গেছে। কিন্তু মৃতদেহটি এখনো উদ্ধার করা হয়নি।’

কর্মকর্তারা জানান, ছাইয়ের নিচে যারা চাপা পড়ে আছেন তারা সম্ভবত বেঁচে নেই। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসেপ সুকর্ণ বলেন, ‘গতকালের উত্তপ্ত ছাইয়ে চাপা পড়ে কেউ বেঁচে থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না। এখন পর্যন্ত আমরা আর কোন মৃতদেহ পাইনি।’

তিনি উদ্ধার তৎপরতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পশ্চিম দ্বীপ সুমাত্রায় অবস্থিত এ আগ্নেয়গিরি থেকে সেপ্টেম্বর থেকেই অগ্নুৎপাত হচ্ছে। কিন্তু শনিবার এটা থেকে আকাশের দিকে ২ হাজার মিটার উত্তপ্ত কাদামাটি ও ছাই উদগিরণ হয়। এতে এর চারপাশ ধূসর ধূলায় ঢেকে যায়।

উত্তপ্ত ছাইয়ে চাপা পড়ে ৪ হাইস্কুল শিক্ষার্থীসহ ১৪ জন মারা যায়। এদের অধিকাংশই স্থানীয় পর্যটক। নুগরোহো জানান, এই ঘটনায় ২৪ বছর বয়সী এক যুবক মারা গেছেন। তিনি তার বাবার সঙ্গে আত্মীয়দের সমাধিতে তাদের আত্মার প্রতি সম্মান জানাতে এসেছিলেন। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। উত্তপ্ত ছাইয়ে পুড়ে যাওয়া আরো দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উত্তপ্ত ছাই ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তল্লাশী কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে।