Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আইফোন আমদানি ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল চীন

iphone-10আইফোন আমদানি ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীনের একটি আদালত। চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোয়ালকমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করল। তবে আইফোন এক্সএস, আইফোন এক্সএস প্লাস, আইফোন এক্সআর এর ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। খবর সিএনএন

আইফোন বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে দায়ের করা আবেদনে কোয়ালকম বলেছে, আইফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল আইফোন ৬এস, আইফোন ৬এস প্লাস, আইফোন ৭, আইফোন ৭ প্লাস, আইফোন ৮, আইফোন ৮ প্লাস ও আইফোন এক্স এর দুইটি পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে।

chardike-ad

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ব্যুরোর দাবি অনুযায়ী, জনপ্রিয় আইফোন ৬ ও ৬ প্লাসের মাধ্যমে চীনের স্বল্প পরিচিত এক ডিভাইস নির্মাতার হ্যান্ডসেটের নকশা নকল করা হয়েছে। মূলত এ কারণে ডিভাইস দুটি আপাতত বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে দুই ডিভাইস বিক্রিতে।

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ব্যুরো জানায়, বহুল ব্যবহৃত আইফোনের এ দুই সংস্করণের নকশা সেনজেনভিত্তিক স্মার্টফোন নির্মাতা ‘বেইলির’ ১০০সি মডেলের স্মার্টফোনের হুবহু কপি। কোনো ধরনের অনুমোদন বা অর্থ পরিশোধ ছাড়াই অন্যায়ভাবে চীনভিত্তিক ডিভাইস নির্মাতার নকশা ব্যবহার করা হয়েছে, যা পেটেন্ট লঙ্ঘনের শামিল।

বিষয়টি ঘিরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয় বেইলি। বেইজিং ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ব্যুরোও তাৎক্ষণিক পর্যালোচনা শেষে অভিযোগটির সঙ্গে একমত পোষণ করে এবং আইফোন ৬ ও ৬ প্লাস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয়।

নিউইয়র্কভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের নভেম্বরে চীনভিত্তিক ডিভাইস নির্মাতা বেইলির ১০০সি ডিভাইস বাজারে ছাড়া হয়। অ্যান্ড্রয়েড চালিত এ ডিভাইসের নকশা আইফোন ৬-এর সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। হালকা-পাতলা কাঠামোর ডিভাইসটির স্ক্রিনে যে স্পিকার স্লট, তা আইফোন ৬-এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। যদিও এ স্মার্টফোন স্থানীয় বাজারের বাইরে খুব একটা প্রচলিত নয়। ১০০সি ডিভাইসটির ব্যাক কভার প্লাস্টিকের। ডিভাইসটিতে কোনো হোম বাটন নেই। আইফোন ৬ ও ১০০সি ডিভাইসের ক্যামেরা লেন্স ও ফ্ল্যাশ সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সোমবার আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে নিষেধাজ্ঞা কতটুকু কার্যকর হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্নে উঠেছে। অ্যাপল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনে আইফোনের সবধরনের মডেল বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।

অ্যাপলের এই বিবৃতির প্রতিবাদে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে কোয়ালকম জানিয়েছে, অ্যাপল যদি আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে ট্রাইব্যুনালের দারস্থ হতে বাধ্য হবেন তারা।

আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর অ্যাপল আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলছে, কোয়ালকম তাদের বিরুদ্ধে কূটচাল চালছে। কোয়ালকম যে দুটি পেটেন্টের কথা বলছে তার একটিকে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক আদালত বাতিল ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া অপর পেটেন্টটি আগে কখনও ব্যবহার করা হয়নি।

বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় বাজার চীন। বাজারটিতে পেটেন্ট জালিয়াতির অভিযোগে এই প্রথম আইফোন বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছে অ্যাপল। এমনটা হলে দেশটিতে বড় ধরনের ধাক্কা সামলাতে হবে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটিকে।