Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ার ইনছন এয়ারপোর্টের আদলে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর, কাজ শুরু এ বছরই

incheop-airport
ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ ২০১৯ সালেই শুরু করতে চায় সরকার। শেষ হওয়া সমীক্ষা প্রতিবেদন হাতে পেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তিন মাসের মধ্যেই নকশা তৈরির কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছন এয়ারপোর্টের আদলেই তৈরি করা হবে এ বিমানবন্দরটি। এটি হবে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের মিলনকেন্দ্র। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের চেয়েও এটা আধুনিক ও সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ হবে।

chardike-ad

তিনি বলেন, এরইমধ্যে নতুন এই বিমানবন্দরের স্থান প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন অপেক্ষা প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন। তার অনুমোদন পেলেই সরকারের এই মেয়াদেই এর কাজ শুরু হবে। পদ্মাসেতুর ওপারে এবং সেতুর পাশেই নতুন এই বিমানবন্দর গড়ে তোলা হবে।

bongobondhu-airport
ফাইল ছবি

২০১৯ সালেই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর প্রথম ধাপে পাঁচ বছর ধরে কাজ করা হবে। আর মোট ১০ বছরে ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ১শ’ বছরের বাংলাদেশ, দেশের অর্থনীতি, জনসংখ্যা ও বৈশ্বিক অবস্থানের কথা মাথায় রেখেই এ বিমানবন্দরের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সারাদেশের সড়ক, নৌ, রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে এই বিমানবন্দর।

এই বিমানবন্দরে প্রতি মিনিটে একটি করে ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারবে। বছরে কমপক্ষে এক কোটি ২০ লাখ যাত্রীর চেক ইন ও চেক আউটের সুযোগ থাকছে। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে ৩০ মিনিটে কোনো যানজট ছাড়াই গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছানোর সুযোগ থাকছে। এই বিমানবন্দরে প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় ৪শ’ যাত্রীবাহী ফ্লাইট ও ২শ’ কার্গোবাহী ফ্লাইট অপারেশনের সুযোগ থাকছে। এই বিমানবন্দর থেকে এক ঘণ্টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য থাকবে বিশেষ মেট্রোরেল প্রকল্প।

২০১০ সালে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় এর ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর তিনটি রানওয়েতে অত্যাধুনিক এয়ারবাস ৩৮০ ও বোয়িং ৭৭৭, ৭৭৭এক্স চলাচল করতে পারবে। এছাড়া মুখোমুখি ট্যাক্সিওয়ে ও অ্যাপ্রোন, দৈনিক ৩৫ হাজার যাত্রীবাহী টার্মিনাল, বিস্তৃত ও বিপুল সংখ্যায় করমুক্ত বিপনী বিতান, একাধিক পাঁচ তারকা ও তিন তারকাবিশিষ্ট ট্রানজিট হোটেলসহ সব আধুনিক কারিগরি ও যান্ত্রিক সুবিধাসমৃদ্ধ এভিয়েশন সম্পর্কিত স্থাপনা তৈরি করা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।