ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবের গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, তিনি ২০১৬ সালে একদিনই ওই ক্লাবে গেছেন, ফিতা কেটেছেন, এটাই শেষ। ওই ক্লাবে ২০১৭ সালে ক্যাসিনো শুরু হয় বলে দাবি করে প্রশ্ন রাখেন- প্রশাসনের কেউ জানতো না সেখানে কী হয় আর আমি জানবো কীভাবে? বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মেনন।
ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ইয়ংমেন্স ক্লাবের সভাপতি যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর রিমান্ডে আছেন। এই ক্লাব দিয়ে অভিযান শুরুর পর আরও একাধিক ক্লাবে অভিযানে বেরিয়ে আসছে ঢাকায় ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের গোপন খবর।
চলমান এই অভিযানের বিষয়ে আজকের সভায় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কিছু দুর্বৃত্তের কারণে সরকারের অর্জন ম্লান হয়ে যাবে এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অভিযান শুরু করেছেন ১৪ দল তার সঙ্গে আছে। তবে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এর সুযোগ নিয়ে কোনো অশুভ শক্তি যাতে চক্রান্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে কোনো অশুভ শক্তি যেন গুটিকয়েক দুর্বৃত্তর জন্য কোনোভাবে সুযোগ নিতে না পারে। দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
নাসিম আরও বলেন, দুনীতি, সামাজিক অপরাধ, ক্যাসিনো বন্ধে যে অভিযান শুরু হয়েছে এতে আমরা আনন্দিত, এটাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি আমরা দুঃখিত ও বিস্মিত যে কিছু রাজনৈতিক কর্মী এই দুনীতি, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। নাকের ডগায় এসব অপকর্ম হয়েছে কিন্তু প্রশাসন নির্লিপ্ত ছিল। আমরা এর নিন্দা জানাই।
সভায় উপস্থিত জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা বলছি কোনো দল দেখে, কোনো মুখ দেখে যেনো ব্যবস্থা নেয়া না হয়। যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসন থেকে দুর্নীতির কালো বিড়াল ধ্বংস করতে হবে। রাজনৈতিক দল থেকে দুর্বৃত্তদের বের করে দিতে হবে।
সভায় মোহাম্মদ নাসিম জানান, আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিক মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৪ দলের পক্ষ থেকে ১৮ মার্চ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সমবেত হয়ে মোমবাতি প্রজ্জলন করে শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে। এটা হবে ১৪ দলের প্রথম কর্মসূচি। এরপর আরও কর্মসূচি থাকবে।
এদিকে ১৪ দলের সভার শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের নাজমুল হক প্রধান, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।