সিউল, ৮ জুন ২০১৪:
আমার এই দুটি চোখ, দিন যায় কথা থাকে, এক যে ছিল সোনার কন্যা। বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী সুবির নন্দী, নাদিরা বেগম, গীতা আচার্য্য, আশুতোষ অধিকারীর গান এবং সোহেল রহমান, শখ, তাবাসসুমের নাচে মুগ্ধ প্রবাসী দর্শকরা। আজ সিউলের খাংসগু কোরিয়া কালচার এসোসিয়েশনের মিলনায়তনে বাংলাদেশ উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো বাংলাদেশী।
উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিউলস্থ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ এনামুল কবীর বলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ কোরিয়ার সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সাংস্কৃতি বিনিময় একটা ভাল ভূমিকা রাখবে। তিনি কোরিয়া কালচার এসোসিয়েশন, বিসিকেসহ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিসিকে সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক রানা বলেন কোরিয়াতে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত একক একটি ফ্লাটফর্মের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দলমত নির্বিশেষে সব পেশার প্রবাসীদের নিয়ে বিসিকে এগিয়ে যেতে চায়। বিসিকে সবার জন্য উন্মুক্ত। এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিসিকে উপদেষ্ঠা হানবেক কোম্পানীর প্রেসিডেন্ট ইয়ুন হিউব এবং কোরিয়া কালচার এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাগণ।
“গান, নাচ অনেক বেশি উপভোগ করেছি। সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছ এত বাংলাদেশী মানুষকে একসাথে দেখা। কোরিয়াতে অবসর সময় খুব বেশি পাওয়া যায়না। অবসরেও উপভোগ করার খুব বেশি সুযোগ নেই। তাই এই ধরণের অনুষ্টানের সুযোগ মিস করতে চান না কেউই”। বলছিলেন ইনছন থেকে আসা আসাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে র্যাফল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। র্যাফল ড্রতে পুরস্কার হিসেবে সিউল-ঢাকা-সিউল, সিউল-জেজু-সিউল এবং স্মার্টফোন দেওয়া হয়।