Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

লাইফস্টাইল পণ্য আন্তর্জাতিকীকরণে গুরুত্ব দিচ্ছে দ. কোরিয়া

jajuপ্রবৃদ্ধি ও রফতানি বাড়াতে লাইফস্টাইল পণ্য বাজার আন্তর্জাতিকীকরণে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। এর মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিদেশের বাজারে জোরালো অবস্থান নিতে পারবে এবং দেশে একটি নতুন রফতানি শিল্পের সৃষ্টি হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। খবর নিক্কেই।

২০১৮ সালের মধ্যে দেশের লাইফস্টাইল পণ্য বাজারকে আন্তর্জাতিকীকরণের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় একটি খসড়া পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে আসবাব, খেলনা, ঘড়ি, অলঙ্কার, ব্যাগ, জুতাসহ সাতটি খাতের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিকল্পনায় ডিজিটাল যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি ‘স্মার্ট টয়েস’, বহু ব্যবহারিক ঘড়ি, দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী অলঙ্কারসহ মোট ১৭টি নির্দিষ্ট পণ্যেরও একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যেগুলোর উত্পাদন ও রফতানিতে বেশি জোর দেয়া হবে।

chardike-ad

উদ্যোগ, প্রবৃদ্ধি ও বিশ্বায়ন— ব্যবসার এ তিন ধাপের মাধ্যমে কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ারও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলোকে তাদের পণ্যের উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন জনের থেকে নেয়া আইডিয়া প্রকাশ করা হবে। পণ্য বিক্রি বাড়াতে বাণিজ্য মেলারও আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোম্পানিগুলো যাতে তাদের পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রসার ঘটাতে পারে, সেজন্য বিজ্ঞাপন এমনকি অভিনেতাদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগানোর মতো সুযোগ করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশকিছু লাইফস্টাইল পণ্য বিদেশের বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির কারণে দেশটির বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্যাগ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য পণ্য এখন বিশ্বের ৬০টি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। গুণগতমান ও দামের মধ্যে ভারসাম্য থাকায় দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এসব পণ্য। এতে উত্সাহী হয়ে দেশটিতে এখন এ ধরনের পণ্যের উত্পাদন বাড়ছে। সরকারের হিসাবে, ২০১২ সালে মোট ৪১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের আসবাব, ঘড়ি ও অন্যান্য লাইফস্টাইল পণ্য উত্পাদিত হয়েছে। এক দশকে এসব পণ্যের উত্পাদন গড়ে বার্ষিক ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।

তবে পণ্য আন্তর্জাতিকীকরণে এ খাতের ম্যানুফ্যাকচারাররা পিছিয়ে রয়েছেন, যার অন্যতম কারণ শ্রমিক স্বল্পতা। এসব ছোট ব্যবসার ৮৬ দশমিক ৩ শতাংশেরই ১০ জনের কম কর্মী রয়েছে। ২০০৫ সালে এ খাতে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা দেখা যায় এবং ২০১২ সালে খাতটিতে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি হয়।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের তথ্য অনুযায়ী, লাইফস্টাইল পণ্যের বাজার ক্রমে বাড়ছে। ইউরোপ, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এ ধরনের পণ্যের প্রধান বাজারগুলোর ২০১২ সালে মোট মূল্যমান ছিল ৫৮৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। ২০০৩ সালের তুলনায় যা আড়াই গুণ বেশি। এ সময়ের মধ্যে চীনের বাজার শেয়ার ২১ থেকে ৪১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর বিপরীত অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, দেশটির শেয়ার ১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৩ শতাংশে নেমেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্য নিয়েছে তারা। বণিকবার্তা।