Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মন্দ সময় যাচ্ছে দ. কোরিয়ার রফতানিকারকদের

export skবেশ কয়েক বছরের মধ্যে চলতি প্রান্তিকেই সবচেয়ে বাজে সময়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানিকারকরা। একদিকে নিজেদের মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী মান, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে ইউরোর মান ১১ বছরে সর্বনিম্নে নেমে যাওয়া ছাড়াও বৃহত্তম বাজার চীনের শ্লথগতির কারণে রফতানির দিক থেকে কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে সিউল। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী জাপান রয়েছে এর পুরো বিপরীত অবস্থানে। রয়টার্স ও সিনহুয়া।

১ ফেব্রুয়ারি জানুয়ারির বাণিজ্য বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করবে দেশটি। বাণিজ্যের ওপর সবচেয়ে নির্ভরশীল দেশগুলোর একটি দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপিতে গত বছর রফতানি ছিল ৫১ শতাংশ। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস ও হুন্দাই মোটরসের দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি এ বছর কমার আভাস পাওয়া যাচ্ছে এরই মধ্যে।

chardike-ad

গত সপ্তাহে দেশটির শুল্ক বিভাগের তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারির প্রথম ২০ দিনে গত বছরের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় রফতানি কমেছে ৯ শতাংশ (ডলার হিসেবে)। এইচআই ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজের তথ্য অনুযায়ী দিনপঞ্জির হিসেবে এ সময় দৈনিক গড় ছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, ২০১০ সালের জানুয়ারির পর যা সর্বনিম্ন।

এইচআই ইনভেস্টমেন্টের অর্থনীতিবিদ পাক-স্যাং হে বলেন, প্রথম প্রান্তিকে রফতানিতে সাড়ে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হিসাব করা হয়েছিল। এটি সংশোধন করলে তা শূন্য অথবা নেতিবাচক স্তরে নেমে আসতে পারে। আর এ ধারণা সত্য হলে ২০১২ সালের শেষের পর থেকে তা হবে রফতানিতে সবচেয়ে মন্দাবস্থা।

হুন্দাই মোটরসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউরোর মান কমে যাওয়ায় ব্যবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব পড়েছে। খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের কাছে এটি বোঝা হয়ে উঠেছে।’

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের শেষদিকের পর থেকে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মান কমেছে এক-তৃতীয়াংশের বেশি। এতে জাপানের কোম্পানিগুলো দেশের বাইরে নিজেদের পণ্যের দাম কমিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণার পর ইউরোও অনেক সস্তা হয়েছে। বিপরীতে তিন বছর ধরে প্রথম সারির অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ওন সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। মুদ্রাটির মান ইয়েনের বিপরীতে ৫৭ ও ইউরোর বিপরীতে ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

মুদ্রার মান ছাড়াও প্রতিবেশী চীনের মতো প্রথম সারির বাজারগুলোয় চাহিদা কমে যাওয়ারও একটি প্রভাব পড়ছে দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানির ওপর। এছাড়া তেলের নিম্নমুখী দামের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার তেলজাত ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের চাহিদাও কমে আসছে, অথচ এ পণ্যগুলো বিদেশে দেশটির বিক্রীত পণ্যের এক-পঞ্চমাংশ।

নমুরার হংকং কার্যালয়ের অর্থনীতিবিদ ইয়ং সান ওন বলেন, অনেক বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানিকারকরা এখন কঠিন সময় পার করছেন। প্রথম প্রান্তিকে বার্ষিক হিসেবে রফতানি দশমিক ২ শতাংশ কমবে বলে ধারণা করছে নমুরা। আর তা হলে ২০০৯ সালের শুরুর দিকের পর তা হবে সবচেয়ে বাজে। পরবর্তী সংশোধনে রফতানি আরো কমে যাওয়ারও তথ্য পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বণিকবার্তা।