Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশ উৎসবের টুকিটাকি

কোরিয়া প্রবাসীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বাংলাদেশ উৎসব গতকাল শেষ হলো। প্রায় দুই মাসের প্রস্তুতির পর শেষ হওয়া উৎসবের টুকিটাকি বাংলা টেলিগ্রাফের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

11137174_10204542566627672_5582485412466811182_n

chardike-ad

 

মিলনমেলা এবং আড্ডা

হাজার হাজার বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে উৎসব এলাকা দেখে যেকেউ ভুলে মনে করতে পারেন এইটা বাংলাদেশের কোন একটি এলাকা। সিউল সাবওয়ের জাংহানপিয়ং স্ট্রেশন থেকে শুরু করে দোংদেমুন কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত বাংলাদেশীদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কমিউনিটি সেন্টারের আশেপাশে পুরো পার্ক এলাকায় আড্ডা মজে থাকতে দেখা যায় প্রবাসীদের। একজন প্রবাসী বলছিলেন কোরিয়া আসার পর এই প্রথম এত বাংলাদেশী দেখে খুব ভাল লাগছে।

পুলিশের কাছে রিপোর্ট

হাজার হাজার বিদেশী দেখে আশেপাশে কোন এক কোরিয়া বাসিন্দা পুলিশকে রিপোর্ট করে। অনেকেই বুঝে উঠতে পারেননি কমিউনিটি সেন্টারে কি হচ্ছিল। দোংদেমুন কমিউনিটি সেন্টার এবং কোরিয়ান কালচার এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা আশ্বস্থ করে এখানে বাংলাদেশীদের একটা ফেস্টিভাল হচ্ছে। অন্য কোন কিছু নয়।

সাউন্ডসিস্টেম বিড়ম্বনা

বাংলাদেশের দুইজন জনপ্রিয় শিল্পীকে সাউন্ড সিস্টেমের জটিলতায় বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অনেককেই সাউন্ড সিস্টেমের সমালোচনা করতে দেখা যায়। একজন বলছিলেন এত টাকা খরচ করতে পারলেন একটা ভাল সাউন্ড সিস্টেম ম্যানেজ করতে পারলেন না।

নতুন রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত জুলফিকার হাসান আগেরদিন সিউল এসেই বাংলাদেশ উৎসবে যোগ দিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অনেককেই নতুন রাষ্ট্রদূতের সাথে ছবি তুলতে দেখা যায়।

ইলিশ এবং বাংলা পিঠা

বাংলাদেশ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল পান্তা ইলিশ ও পিঠা। সকাল থেকেই পান্তা ইলিশের স্টলের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মত। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশী পিঠার স্টল দেওয়া হলেও মানুষের আগ্রহ অনেক কম দেখা যায়। অনেকটা বাংলাদেশী পিঠাকে বিদেশের মাটিতে প্রমোট করার জন্য এই স্টল দিয়েছিলেন বাংলাদেশী কয়েকজন শিক্ষার্থী।