শান্তি ও মানবিকতায় একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
এর আগে ভারতের অহিংস আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধী ও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সাং সু চি একই পুরস্কার পেয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইন্দোনেশিয়ার বালিভিত্তিক সুকর্ন এডুকেশন ফাউন্ডেশন কিম জং উনকে শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবিকতার জন্য সম্মান জানাতে যাচ্ছে। ফাউন্ডেশনের দেয়া পুরস্কার চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গ্রহণ করবেন উত্তর কোরিয়ার এই নেতা।
দ্য ওয়ার্ল্ড পোস্ট পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়, কিম জং উনকে পুরস্কার দেয়ার ব্যাপারে গত সপ্তাহে নিজেদের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে ফাউন্ডেশন।
ঘোষণাটি আসার পর এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। একনায়ক কিম জং উনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লক্সক্ষনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
সমালোচকদের অভিযোগ নাকচ করেছেন ফাউন্ডেশনের রাচমাবতী সুকর্নপুত্রী। তিনি দেশটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট সুকর্নের মেয়ে।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে রাচমাবতী সুকর্নপুত্রী বলেছেন, নয়া-উপনিবেশবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্য কিম জং উনকে সম্মানিত করা উচিত।
কিম জং উনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্গনের অভিযোগকে অসত্য ও পশ্চিমা প্রচারণা বলেও অভিহিত করেন রাচমাবতী সুকর্নপুত্রী।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে কিম জং উনের পিতামহ ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং একই পুরস্কার (মরণোত্তর) পান।
কয়েক দশক ধরে ইন্দোনেশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
সূত্র: এএফপি