Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘৮০ ভাগ ব্যবসায়ী এমপি দিয়ে আইনের শাসন হবে না’

cfপ্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, “ইউরোপ-আমেরিকায় সংসদ সদস্যদের ৮০ শতাংশই আইনজীবী বা আইনের ছাত্র, অপরদিকে বাংলাদেশের আইনপ্রণেতাদের ৮০ শতাংশই হচ্ছে ব্যবসায়ী-এই অবস্থায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কে খান আইন অনুষদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন বলেও আশ্বস্ত করেন।

chardike-ad

প্রধান বিচারপতি আইন শিক্ষাকে জনসেবার বড় সুযোগ উল্লেখ করে বলেন, “আমেরিকায় ৯০ ভাগ কংগ্রেস সদস্য আইনের ছাত্র। এমনকি কংগ্রেসের ডেমোক্রেটিক পার্টির যে লিডার, তিনি কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক। সেখান থেকে পদত্যাগ করে তিনি কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ইউরোপের দেশ ইংল্যান্ডে গিয়ে দেখেন, ৮০ ভাগ সংসদ সদস্য আইনের ছাত্র, আইনের শিক্ষক বা আইনজীবী। আমার বাংলাদেশে, ৮০ ভাগ সংসদ সদস্য হলো ব্যবসায়ী। মাত্র দুই থেকে তিন ভাগের আইনের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “সময় চলে আসছে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রকে যদি রক্ষা করতে হয়, তোমরা আইনের ছাত্ররা এগিয়ে আসবে, তোমরা সংসদ সদস্য হবে, পার্লামেন্টে কথা বলবে, আইনের শাসন, রুল অব ল তোমরা তুলে ধরবে। তোমরা ছাড়া ব্যবসায়ীদের দিয়ে এটা হবে না, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না।”

বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, “আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমার বিচারকরা এখন আর টেলিফোন ধরেন না। টেলিফোন করে জামিন, ইনজাংশন কিংকা রায় দেবে সেই দিন চলে গেছে। আপনারা দোয়া করবেন, এটা আর বাংলাদেশে হবে না।”

অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, “রাষ্ট্রের হেফাজতে মৃত্যু কিংকা হত্যাকে আত্মহত্যা বলা সমর্থন করা যায় না।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাহউদ্দিন কাশেম খান, আইন কমিশনের সদস্য ড. এম শাহ আলম, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।