Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিট বেল্ট না বাঁধায় রানির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ!

Queenরাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের সব কর্তা-ব্যক্তিত্বরা পরামর্শ-সিদ্ধান্তের জন্য তার দ্বারস্থ হন। তিনি রাস্তায় নামলে কুর্নিশ করে সম্মান জানায় সবাই। বিশ্ব নেতৃত্বও তাকে শ্রদ্ধা জানায় অগাধ। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসের অধিকর্ত্রী সেই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিরুদ্ধেই কিনা অভিযোগ গেল পুলিশের কাছে। তাও আবার গাড়িতে সিট বেল্ট না বাঁধার অভিযোগ!

জনসাধারণের জন্য সিট বেল্ট না বাঁধাটা উন্নত বিশ্বে দণ্ডণীয় অপরাধ, সে অপরাধ যিনিই করুন, চালক বা যাত্রী। তা-ই বলে বয়োজ্যেষ্ঠ রানিকেও এই দণ্ডণীয় অপরাধে অভিযুক্ত হতে হবে?

chardike-ad

অন্তত এক তীক্ষ্মদৃষ্টির ব্রিটিশ এ ব্যাপারে ছাড় দিতে রাজি নন। সেদিন রানি রাজকীয় গাড়িতে চড়ে ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্টে যাচ্ছিলেন উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে। সাদা গ্লাসের গাড়ি থেকে হাত নেড়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন তিনি। সবাই রানিকে প্রথমে কুর্নিশ করে শ্রদ্ধা ও পরে হাত নেড়ে শুভেচ্ছার জবাব দিচ্ছিল।

ওই একজন শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানালেও খেয়াল করলেন, রানি তো ‘আইন ভেঙে’ পার্লামেন্টে যাচ্ছেন! তিনি তো সিট বেল্ট বাঁধেননি!

ব্যস, কে কী বলবে তার হিসাব না কষে সেই লোকটা ফোন লাগালেন গণপরিবহন নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক কর্তৃপক্ষের।

পরিবহন কর্তৃপক্ষ তার কলের সংযোগ দিয়ে দিলো ওয়েস্ট ইয়র্কশয়ার পুলিশ কাস্টমার কন্টাক্ট সেন্টারে। সেখানে অভিযোগ গিয়েছে জানা গেলেও আসলে কলার ও রিসিভারের মধ্যে কী আলাপ হয়েছে তা জানা যায়নি।

পরে সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি এলে জানা যায়, আসলে ব্রিটিশ রাজ্যের প্রধান রানি সব ধরনের দেওয়ানি ও ফৌজদারি অপরাধ আইনের ঊর্ধ্বে। অভিযোগটিই অমূলক ছিল।

এ নিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়, ‘রানি সবসময়ই তার ব্যক্তিগত কার্যাবলী আইন মেনে সম্পন্ন করার ব্যাপারে সচেতন।’