Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কবিতা : “নোলক”

গাঁ ঘরের মেয়ে আমি,
অলংকরণে মিতা, নারী.. যে আমি।
ভবের সংসারে, বস্ত্র, খাদ্য, বাসস্থানে
সবার অধিকার, তবু,
অলংকরণ বলে আমার গাঁথুনি আছে,
নারী…..যে আমি।
শাড়ীতে নারী, কেশে নারী, আবার
অলংকরণ স্বাদেও নারী।
তবে ব্যক্তিত্বে বোধে স্থানাধিকারী নয় কেন?
ও,ও মেয়ে!
নোলকে তোর রূপ বাড়বে জানিস?
রূপমোহিনী মোহন সুধায় তোকে বাঁধতে হবে,
স্বামীর সুস্থ শ্বাসে তোকে দেহ ছেদন করতে হয়,
তবে মনের ছেদ, সে কি আপনে বিলিয়ে যায়?
কামনার বহ্নি শিখা তোকে কি ছেড়েছে সুধাময়ী?
হাতের কাঁকন পড়েছিস বড়ো,
পেয়েছিস কি আলিঙ্গনের সুধা?
অলংকারে আঙ্গিক হয়ে তুই স্বরূপের বিধান গেয়েছিস?
মন্দিরের মা, আপন সত্ত্বায় বলির প্রহসনে
আর বাস্তবের মাতৃ অলেপ মা আজ বৃদ্ধাশ্রমে।
শ্রদ্ধা পেয়েছিস নারী কুলের সতীত্ব দর্পণে?
নোলকের রীতি, শুধুই বিবাদী সমাজের মূলে।
ও নারী!
তোর আত্মার প্রকাশ আছে বড়ো,
ছায়াবৃত্তের দোলনে তুই আজ সান্ধ্য শঙ্করী।
আমি কেবল আমিতে হারায়, তোর সোহাগী আলাপে,
বিচিত্রতার মনের আঁধারে মানবী ঈশ্বরী।
নোলকের দোলন, মুগ্ধতার প্রতিপালন নয়, রে নারী..
বিচিত্র জগত মাঝে তোর এক নব যুগ গড়ি।
সুখের বাঁধন পরমুখাপেক্ষী ভাঙ্গনে চলমান,
তবু কলম তোর ধরেছিল তারাই, নামে..
“আমার নারী “।
ভাতের স্বাদে কুহকিনী আজ নারী স্বাদ
অলংকরণে,
তবে এ স্বাদ আত্মবৈরাগ্যে,
শিক্ষা নিকেতনে আধার উত্তোরণে শ্রেষ্ট অলংকরণ
সহার্থে অলংকৃত অলংকর্ত্রী,
নোলক মোহোনী সর্বভূতা,
♦♦♦আমার নারী♦♦♦

লিখেছেন: প্রিয়াঙ্কা সরকার

chardike-ad