Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পরবাস থেকে বাবা তোমায় সশ্রদ্ধ সালাম

franceএই জেলে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই, নির্দিষ্ট কোনো গন্ডি নেই, শাসন করার কেউ নেই, বারণ করার কেউ নেই, নেই কোনো আদেশ উপদেশ। শুধু আছে হতাশা, কষ্ট আর যন্ত্রণা।

হ্যাঁ বলছি প্রবাসী প্রতিটা ছেলের এক করুন আর্তনাদের গল্পের কাহিনি। জীবন জীবিকার তাগিদে উন্নত বাসস্থানের সন্ধানে কিংবা নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রবাসী হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি বিশ লাখ।

বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এসব প্রবাসীরা। দেশ ছেড়ে আসলেও দেশের কৃষ্টি কালচার আর সংস্কৃতিকে আঁকড়ে রেখে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ভিনদেশের মানুষের কাছে।

বুকে লাল সবুজের পতাকাকে সমুন্নত রেখে প্রবাসীদের বদৌলতে আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এক গর্বিত নাম। এই প্রবাসীদেরকে অনেকেই বলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। গেল কয়েক দশকে দেশের অর্থনীতিতে এক বৈপ্লবিক দ্বার উন্মোচন করেছেন এই রেমিট্যান্স সৈনিকরা। সব কিছুই ঠিক আছে তবে একটা হাহাকার কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। আপনজনের সান্নিধ্যে না থাকার বেদনা যা কেউ দেখে না। এমনকি স্বজনরাও কখনো বোঝে না।

প্রবাসের সুখের বাতাসটা সবাই অনুভব করে। কাড়ি কাড়ি টাকা আর গাড়ি বাড়ির স্বপ্ন দেখে তবে কখনো বোঝে না পরিবার পরিজন ছেড়ে থাকার কষ্টটা মানসিকভাবে কতটা বিপর্যস্ত করে তোলে। এত কিছুর পরও একটা বোধ জ্ঞান হয়েছে। বলা যায় বাবার মতই হয়েছি।

কীভাবে শতকষ্ট বুকে চেপে রেখে হাসিমুখে সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে বাবারা দায়িত্ববোধের পরিচয় দেন। ছেলে আজ অনেক বড় হয়েছে, বাবার দায়িত্বটা কাঁধে নিয়েছে। তবে বাবার বোধটা কখনো পূরণ হয়নি।

বাবা নেই, এটা মেনে নেয়া যায় না। বাবা হলেন মাথার ওপরের ছাঁয়া। তুমি শিখিয়েছো কি করে অসীম পাহাড়ের সামনেও বুকটা চিৎ করে দাঁড়িয়ে থেকে মোকাবিলা করতে হয়। কি করে একটা পরিবারের শীর্ষ ভূমিকা পালন করতে হয়। প্রবাসী জেল থেকে বাবা তোমায় সশ্রদ্ধ সালাম।

লেখক- ফয়সাল আহাম্মেদ দ্বীপ, সভাপতি, অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email