Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জোয়ারে ভাসছে সৌন্দর্যে ভরা ভেনিস

italyইতালির ভেনিস পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি সৌন্দর্যে ভরা শহর। এই শহরের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে আসেনি এমন একজন ভ্রমণ পিয়াসী খুঁজে পাওয়া যাবে না। শেক্সপিয়ার থেকে শুরু করে অনেক বড় কবি, সাহিত্যিক ভেনিসের রূপ সৌন্দর্য তুলে ধরে তারা খ্যাতি অর্জন করেন। সেই শহরটি আজ বন্যার পানিতে প্লাবিত।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য গত কয়েক দিন ধরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ভেনিস। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাসহ পর্যটকরা অস্বস্তির মধ্যে সময় পার করছেন। বিশেষ করে ভেনিসের অন্যতম সৌন্দর্যের প্রতিক সান মার্কো’র চরম ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে সান মার্কো যা পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা।

chardike-ad

সান মার্কোতে রয়েছে বিশাল এক গির্জা। এটি সান মার্কোর সৌন্দর্যকে আরও বেশি বৃদ্ধি করেছে। ভেনিসে গড়ে প্রতিবছর ২০ মিলিয়ান পর্যটক আসে। পর্যটকদের অধিক আনাগোনা থাকায় ব্যবসা বাণিজ্য জমজমাট হয়ে থাকে। মূলত ভেনিস হলো পর্যটক নির্ভর একটি শহর।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অধিক জোয়ারের পানি প্রবেশের ফলে পুরো শহর তলিয়ে গেছে। শহরটি হঠাৎ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। ভেনিসকে উচ্চ পানি থেকে রক্ষা করার জন্য ১৯৮০ সালে একটি ডিজাইন শুরু করা হয়। যার কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে তিন বছর পূর্বে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি।

প্রায় সাত বিলিয়ন খরচ দেখানো হয় উচ্চ পানির চাপ বন্ধ করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়নি। উচ্চ পানির চাপে সান মার্কোতে ২ জনের মৃত্যু হয়ে ছিল। সান মার্কো ইতিহাসের পঞ্চম বারের মতো প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পালেস্ট্রিনা দ্বীপটি সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ বছর রেকর্ড পরিমাণ পানি দেখা গেছে, ভেনিসে ১২ নভেম্বর পানির উচ্চতা ছিল ১৮৭ সেন্টিমিটার এবং ১৩ নভেম্বর ১৬০ সেন্টিমিটার এটি রেকর্ড পরিমাণ জলের উচ্চতা ভেনিস শহরের জন্য।

এখনো শহরটির বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকা ভেনিস। জানা গেছে, ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণে স্থানীয় মেয়র শহরটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পানির উচ্চতার কারণে যানবাহন চলাচলে চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এদিকে পানি বাড়ার কারণে সকল প্রকার ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জোয়ারের পানির কারণে।

লেখক- জমির হোসেন, ইতালি থেকে