
আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—সেই নির্বাচনের আগে জনগণের আস্থা ফেরাতে চাই কিছু মৌলিক সংস্কার ও পূর্ববর্তী অপরাধীদের দৃশ্যমান বিচার। তা না হলে আগের মতো প্রহসনের নির্বাচন হলে তা জাতির জন্য গভীর দুঃখ ও বেদনার কারণ হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াত আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব’-এ শহীদ ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, জাতি তাঁদের চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। শহীদদের পরিচয় বের করে আনার দায়িত্ব সরকারের হলেও, তা করছে না জামায়াত। আমরা শহীদ পরিবারের কাছে যাচ্ছি, যাব এবং থামবো না।”
তিনি বলেন, “যাঁরা শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তাঁদেরই উচিত ছিল পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।”
জামায়াত আমীর আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে, তারা দেশপ্রেমিক। তারা একবার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, এবার করবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আর সে যুদ্ধেও জয়ী হবে সাধারণ মানুষ।”
তিনি দাবি করেন, “যদি আমাদের দলের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আসে, তাহলে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের চেহারা বদলে দেব।”
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভা পরিচালনা করেন নগর জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী ও নায়েবে আমীর নুরুল ইসলাম বাবুল।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। আরও বক্তব্য দেন সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আমীর মখলিছুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, এমপি প্রার্থী মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন জামায়াত আমীর নিজেই।








































