বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ৩০ জুলাই ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন
শেয়ার

নরসিংদীতে নাহিদ ইসলাম

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি



আগামী ৩ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নরসিংদীতে এক পথসভায় এ ঘোষণা দিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ওইদিন সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা যদি পাশে থাকেন, আমাদের সকল দাবি আদায় করেই ছাড়ব।”

আজ বুধবার (৩০ জুলাই) ছিল এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র শেষ দিন। এর সূচনা হয়েছিল ১ জুলাই, রংপুরের পীরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে। সমাপ্তি হলো নরসিংদী শহরের পৌরসভা প্রাঙ্গণে জনসভা দিয়ে।

সভায় বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত এক বছরে আমরা দেখেছি ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। নতুন সংবিধান আসেনি, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি এখনও বহাল, আমাদের ঘোষণাপত্র আটকে রাখা হয়েছে। আমরা কোনও দাবি থেকে সরে আসিনি।

তিনি আরও বলেন, চব্বিশের আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছিল, যেখানে নরসিংদী জেলার ২২ জন শহীদ হয়েছেন। আমরা তা ভুলিনি, ভুলিনি ১৭ জুলাইয়ের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা ১৮ জুলাইয়ের শহীদের কথা। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা নরসিংদীর উন্নয়ন চাই, শিল্পোন্নত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এখানে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের উচ্ছেদ করব, ইনশা আল্লাহ এনসিপির বিজয় হবেই।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তাঁরা এনসিপির কেউ নন, তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি। তাদের বিরুদ্ধের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে হবে।

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ঐকমত্য কমিশন হয়েছে, কিন্তু এখনো কেউ পেছন থেকে বাধা দিচ্ছে। সময় থাকতে সরকারের কথা শুনুন, শহীদদের সঙ্গে থাকুন। না হলে ভবিষ্যত কী হবে বলা মুশকিল।

সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর কারা গুলি চালিয়েছিল, কার আদেশে হয়েছিল তা জানতে চাই। জনগণ জানতে চায়।

পাঁচটার দিকে নরসিংদী শহরের জেলখানার মোড় থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। নানা সড়ক ঘুরে তা পৌরসভার সামনে সমাবেশস্থলে পৌঁছায়। এর আগে নাহিদ ইসলাম নরসিংদী ক্লাবে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে শহরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশ সূত্র জানায়, ৯০০-এর বেশি সদস্য দায়িত্বে ছিলেন।