
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর সোয়া ১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১১টা) শুরু হতে যাওয়া এই বৈঠকে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নীতিনির্ধারকও উপস্থিত থাকবেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস, রাশিয়া–বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইউক্রেন–বিষয়ক বিশেষ দূত কেইথ কেলগ। অপরদিকে জেলেনস্কির সঙ্গে থাকবেন তাঁর চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক এবং ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান রুস্তম উমেরভ। খবর বিবিসির।
জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর বিকেল ৩টা থেকে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠক করবেন ট্রাম্প। এতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা যোগ দেবেন। এই বৈঠকের দুটি প্রধান উদ্দেশ্য—ইউক্রেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং যুদ্ধ–পরবর্তী ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
গত ফেব্রুয়ারিতেও হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। তবে সেই অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না বলে জানান জেলেনস্কি। ওয়াশিংটনে পৌঁছে তিনি বলেন, “আমি চাই না আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক। তবে বৈঠকে আমন্ত্রণের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে কৃতজ্ঞ।”
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জেলেনস্কি লেখেন, “আমরা সবাই চাই এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। রাশিয়া যুদ্ধ শুরু করেছিল, তাদেরই শেষ করতে হবে। আশা করি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বন্ধুদের সমর্থনে আমরা রাশিয়াকে প্রকৃত শান্তি মেনে নিতে বাধ্য করতে পারব।”
এর আগে গত শুক্রবার আলাস্কার এক সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় ধারণা করা হয়েছিল যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে, তবে শেষ পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হয়নি। ট্রাম্প জানান, কোনো সমঝোতা হলে তা হতে হবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যেই। এর পরপরই আসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের ঘোষণা।






































