বৃহস্পতিবার । ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শেয়ার

শপথ নিলেন নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি, ২০২৬ এর মার্চে নির্বাচন


Sworn in Sushil Karki

তরুণ প্রজন্মের অভ্যুত্থান ও টানা বিক্ষোভ-অভ্যুত্থানের পর নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। এর মাধ্যমে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখলেন তিনি।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল নিওয়াসে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পোউডেল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি রাম সাহায় যাদব, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাওয়াত, সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

শপথের পরপরই রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়, আগামী ২০২৬ সালের ৫ মার্চ দেশব্যাপী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শপথের পর নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকও বসে শীতল নিওয়াসে।

নেপালের রাষ্ট্রপতির দপ্তর জানায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি পাউডেল, সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল এবং ‘জেনারেশন জেড’ আন্দোলনের প্রতিনিধিদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুর্নীতি, বেকারত্ব ও সরকারের অদক্ষতায় ক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম রাস্তায় নামে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার পর আন্দোলন দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের দমন-পীড়নে কমপক্ষে ৫১ জন প্রাণ হারান, আহত হন শত শত মানুষ।

জনরোষে টিকে থাকতে না পেরে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হলো সুশীলা কার্কিকে।

নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া সুশীলা কার্কির সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—অন্তর্বর্তী সরকারকে স্থিতিশীল রাখা, দুর্নীতিবিরোধী জনআস্থা বজায় রাখা এবং প্রতিশ্রুত নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন করা।