বৃহস্পতিবার । ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:১৪ অপরাহ্ন
শেয়ার

ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি, ছয় মাসের বেশি থাকব না: সুশীলা কার্কি


Sushila-Karki
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ছয় মাসের মধ্যে সব দলকে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দায়িত্ব গ্রহণের পর কাটমান্ডু পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার দল এবং আমি ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি। আমরা ছয় মাসের বেশি থাকব না। নতুন সংসদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করব। আপনাদের সমর্থন ছাড়া আমরা সফল হতে পারব না।”

৭৩ বছর বয়সী এই নেতা সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে হওয়া ‘জেন-জি’ আন্দোলনের প্রশংসা করে বলেন, আন্দোলনে নিহতদের শহীদ স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ১০ লাখ নেপালি রুপি ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহনসহ আর্থিক সহায়তা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

দেশজুড়ে সাম্প্রতিক সহিংস বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “মাত্র ২৭ ঘণ্টার বিক্ষোভে এমন রূপান্তর আমি আগে দেখিনি। তবে আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়েছে। এগুলো তদন্ত করা হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সহজ শর্তে ঋণ বা অন্য কোনো ব্যবস্থার কথাও ভাবা হচ্ছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, সহিংসতার মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পত্তি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে হচ্ছে। “যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না,” যোগ করেন তিনি।

কার্কি বলেন, নেপাল বর্তমানে একটি কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হবে পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

দ্য হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে- এর মধ্যে ৫৯ জন বিক্ষোভকারী, ১০ জন কারাবন্দি ও তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে নেপালের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কাটমান্ডুতে মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতার পর দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপকে তারা স্বাগত জানায়। বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল ও তরুণ নেতাদের গণতান্ত্রিক অঙ্গীকারের প্রশংসা করা হয়।

একইসঙ্গে অস্থিতিশীলতার সময়ে শৃঙ্খলা রক্ষায় নেপালি সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের ভূমিকার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মতে, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ও শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।