বিশ্বের অন্যতম ছয় অর্থনৈতিক পথপ্রদর্শকদের অন্যতম হিসেবে ড. ইউনূসকে উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যানশিয়াল টাইমস পত্রিকা। পত্রিকাটির গত ৩১ মার্চ সংখ্যায় ‘বিজনেস পাইওনিয়ারস ইন ফিন্যান্স’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অর্থনীতির পথপ্রদর্শক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। এতে ওয়ারেন বাফেট, অ্যামাদেও গিয়ানিনি, হেনরি ক্র্যাভিস, জন পিয়ারপন্ট মরগান এবং মেয়ার অ্যামসেল রোথচাইল্ডের সঙ্গে ড. ইউনূসকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছয়জন অর্থনীতিবিদকে যেকোনো সময়ের হিসাবে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে দেখানো হয়, কিভাবে অর্থনৈতিক উদ্ভাবন পুরো বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে। এতে বলা হয়, শুধু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নয়, কিছু অর্থনীতিবিদের উদ্ভাবন বিশ্ব উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে।
প্রতিবেদনে ড.ইউনূস সম্পর্কে বলা হয়, তিনি হয়তো বা ক্ষুদ্রঋণ উদ্ভাবন করেননি, কিন্তু তিনি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে তুলেছেন। যা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি দরিদ্র বাংলাদেশকে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং তাঁর সামাজিক ব্যবসার আইডিয়া সারা বিশ্বে সম্প্রসারিত হয়েছে। যার অন্যতম উদাহরণ তাঁর নিজের দেশেই গড়া ব্র্যাক ব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৬ সালে দরিদ্র মানুষকে জামানত ছাড়াই ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া শুরু করেন ড. ইউনূস। যাদের বেশির ভাগই ছিল নারী। প্রথম অবস্থায় তিনি সুদ ছাড়া ঋণ দেওয়া শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে এটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। যার মডেল গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ। ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁকে ও গ্রামীণ ব্যাংককে ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে দেওয়া হয়।






































