যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আরও ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) বুকলেট ও ২০ লাখ লেমিনেশন ফয়েল কিনছে সরকার। এজন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, সারাদেশ আস্তে আস্তে ই-পাসপোর্ট হয়ে যাবে। আমরা এখনও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি নিয়ে চলছি। ই-পাসপোর্টের কাজও চলছে। এমআরপি কন্টিনিউ না করলে মানুষ বিদেশে যেতে পারবে না। এটি একটি চলমান প্রকল্প। ব্রিটিশ কোম্পানি ‘ডে লা রু’ পাসপোর্ট সরবরাহের কাজ করে। তারা ভালোই কাজ করছে।
ডে লা রু’র সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, তারা আমাদের আরও দুই মিলিয়ন (২০ লাখ) পাসপোর্ট ও দুই মিলিয়ন (২০ লাখ) লেমিনেশন ফয়েল সরবরাহ করবে। এজন্য আমাদের ৪০ কোটি ৭১ লাখ টাকা লাগবে- বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি জানান, আগেই তাদের কাছ থেকে ৩৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ মিলিয়ন পাসপোর্ট বুকলেট ও ১৫ মিলিয়ন লেমিনেশন ফয়েল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত আরও দুই মিলিয়ন পাসপোর্ট ও দুই মিলিয়ন লেমিনেশন ফয়েল কেনায় মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪০৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন ‘গুরুত্বপূর্ণ ১৫৬টি উপজেলা সদর বা স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৫টি প্যাকেজে ৩৪ লটে ৩৪ প্রকার অগ্নিনির্বাপণী ও উদ্ধার সাজ-সরঞ্জাম ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ৮৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে হাইটেক পার্ক সিলেটের (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি) প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের সামান্য খরচ বাড়বে, কিছু জায়গায় ভূমি উন্নয়ন এবং সাইট উন্নয়নের জন্য মাটি লাগবে। এজন্য অতিরিক্ত ১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা লাগবে।’ জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়িতে চার লেনের সড়ক উন্নয়নের কাজ অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘মাতারবাড়িতে যে প্রজেক্ট হচ্ছে সেখানে বিরাট কর্মযজ্ঞ চলছে। সিঙ্গাপুরের প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ সমান হবে। প্রথমদিকে আইডিয়াটা খুব বেশি কনসিভ (কল্পনা) করা হয়নি, মাত্র দুটি রাস্তার প্রভিশন (ব্যবস্থা) রাখা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেহেতু এখানে ১০ হাজার মেগাওয়াট পাওয়ার তৈরি করা হবে, এজন্য যে পরিমাণ কয়লা দরকার, সে কয়লা এখানে জমা থাকবে। চারটি লেন থাকবে শুধু ট্রাক ইন ও আউটের জন্য। সেখানে পাওয়ার প্ল্যান্ট হবে, ডিপ সি-পোর্ট হচ্ছে, সেখানে অনেক কিছু হচ্ছে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে আট লেনে সেখানে যেতে হবে। আমরা আপাতত চার লেন অনুমোদন করেছি। নির্দেশনা হলো, ভবিষ্যতে যেন আরও দুই লেন করতে পারি। আপাতত চার লেন করে ভবিষ্যতে আরও দুই লেন করার জন্য বলা হয়েছে। দুই লেনের জন্য এসেছিল ৩৬৩ কোটি টাকা। এখন যেহেতু চার লেন হবে, সে কারণে দাম বাড়বে। তবে নতুন দাম নিয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না।’
সৌজন্যে- জাগো নিউজ



































