Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উচ্চ আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যে ঠিক পথেই হাঁটছে মালয়েশিয়া

সিউল, ১৪ মে ২০১৪:

২০২০ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটছে মালয়েশিয়া সরকার। অর্থনীতি রূপান্তর এবং তেল থেকে আসা আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ১০ বছর মেয়াদি কর্মসূচির মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে তারা। ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন প্রোগ্রামের ওপর ২০১৩ সালের জন্য প্রস্তুত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের।

chardike-ad

800px-Flag_of_Malaysia.svgপ্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৬০ ডলার। আগের বছর তা ছিল ৯ হাজার ৯৭০ ডলার। ২০২০ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১৫ হাজার ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য মালয়েশিয়ার। একই সঙ্গে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দিক থেকেও ভালো অবস্থানে রয়েছে দেশটি। গত বছর মালয়েশিয়ায় বেসরকারি খাতে ১৬১ দশমিক ১ বিলিয়ন রিঙ্গিত বিনিয়োগ হয়েছে।

মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে আর্থিক ঝুঁকির উপস্থিতির কারণে গত জুলাইয়ে ফিচ রেটিং দেশটির ঋণমানের পূর্বাভাস নেতিবাচক করেছে। নিজেদের আর্থিক ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক কয়েক দশক ধরে চলে আসা ভর্তুকির সমাপ্তি টানতে যাচ্ছেন। সরকার বলছে, জিডিপির অর্ধেকই এখন ভোক্তা ব্যয়ের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া করসীমা বাড়ানোর কারণে আয়ও বাড়ছে। একই সঙ্গে তেল-গ্যাস শিল্পের ওপরও তাদের নির্ভরশীলতা কমে আসছে।

সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, একটি উচ্চ আয়ের দেশের বৈশিষ্ট্য অর্জনের লক্ষ্যগুলো মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক রূপান্তরের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত। সেবা খাত নির্ভর, ভোক্তা ব্যয় পরিচালিত এবং তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাসই উচ্চ আয়ের দেশগুলোর বৈশিষ্ট্য।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, যখন কোনো দেশের মাথাপিছু মোট দেশজ আয় (জিএনআই) ১২ হাজার ৬১৬ ডলার বা এর বেশি হবে, তখনই একে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সূত্রঃ বণিকবার্তা।