ইতালিতে না ফেরার দেশে আরেক বাংলাদেশি

italy-faridইতালিতে ফরিদ খান নামে (৬০) এক প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন। শনিবার আনুমানিক সময় রাত ১০টায় দেশটির ত্রিয়েসতে নামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি- রাজেউন)।

এ বিষয়ে তার আত্মীয় রাজন (নাতি) জানান, চলতি মাসের ৭ তারিখ তিনি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডাক্তার পরীক্ষা করলে তার শরীরে ডায়বেটিস ও ফুসফুস জনিত রোগা ধরা পড়ে। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার তিনি না ফেরার দেশে চলে যায়।

পরিবার নিয়ে তিনি ইতালির উত্তরপূর্ব মনফালকান নামক এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি দেশটিতে প্রায় ৩০ বছর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালিয়ান নাগরিক। তার দেশের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরে থানার গৌরিপুর গ্রামে।

মৃত্যুকালে চার মেয়েসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। লাশ দেশটির এক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইউরোপের সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় কাল সিদ্ধান্ত হবে লাশ দেশে পাঠাবে কিনা।

এর আগে একজন বাংলাদেশি প্রাণঘাতী করোনায় মারা গেছেন। একদিনের ব্যবধানে তিনিও মারা গেলেন।

এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ মার্চ আরও ৭৯৩ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশটিতে ৪ হাজার ৮২৫ জন মারা গেল। দিনের পর দিন দেশটিতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে আতঙ্কের মাত্রাও।

করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে সুরক্ষা দিতে ইতালি সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে জরুরি অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। চলাফেরও সীমিত করা হয়েছে। তবু যেন মৃত্যু থামছে না। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। করোনার ভয়ানক আঘাতে দিনদিন দেশটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।

এ দিন দেশটিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫৫৭ জন। এর আগের দিন ৫ হাজার ৯৮৬ জন। যার ফলে দিনের পর দিন জনগণের মাঝে আতঙ্ক বেড়েই যাচ্ছে। ভয়-আতঙ্কে দিন যাপন করেছেন ইতালিয়ান, বাংলাদেশিসহ অন্যান্য অভিবাসীরা। করোনায় বাড়ছে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা, তেমনি বাড়ছে সুস্থ রোগীর সংখ্যাও। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৮১। সবমিলিয়ে, দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন।