মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় শনিবার (১৭ মে) একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার প্রধান আসামি ও আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে (৫০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মাগুরার একটি আদালত। তবে হিটুর স্ত্রী জাবেদা বেগম (৪০) এবং দুই ছেলে সজিব শেখ (২০) ও রতুল শেখকে (২৫) খালাস দেওয়া হয়েছে।
মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাহিদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। তিনি জানান, এ মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং সাতটি আলামত জব্দ করা হয়েছে।
অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় আলোচিত শেষ হলো এই মামলার বিচার কার্যক্রম ।
এর আগে গত ১৩ মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ মে নির্ধারণ করেন আদালত।
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়।
গত ৬ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। পরে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
পরদিন গুরুতর অবস্থায় অচেতন আছিয়াকে প্রথমে মাগুরার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
৭ মার্চ তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় এবং ৮ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় আছিয়ার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখ আদালতে দায় স্বীকার করে ১৫ মার্চ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ১৩ এপ্রিল পুলিশ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে আরও চারজনকে অভিযুক্ত করে।
আছিয়ার মৃত্যুর পর মাগুরাসহ সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে।