সাধারণত খাবার ড্রেসিং করার জন্য লেটুস পাতাকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফাস্টফুড খাবারেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু আপনার ভালো লাগে না বলে, ওটি ফেলে দিয়ে খাবারটি খান। কিন্তু জানেন কি লেটুসপাতার অনেক ধরণের খাদ্যগুন রযেছে এবং তার সঙ্গে ক্যালোরির পরিমান অনেক কম, তাই সহজে মোটা হওয়ার ভয় নেই। জেনে নিন এই পাতার খাদ্যগুণ৷
১) লেটুস আঁশযুক্ত সবজি বলে এটা খাবার দেহের জন্য উপকারী। এটি হজমও হয় দ্রুত। লেটুসে অতি অল্প পরিমাণে কোলেস্টরেল রয়েছে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
২) লেটুস পাতায হল আয়রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। নারীদের ঋতু চলাকালীণ সময়ে তাদের দেহে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আয়রনের প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী অবস্থাতেও আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। তাই খাবারের সঙ্গে লেটুসপাতা খাওয়াও অভ্যেস করুন।
৩) প্রোটিন দেহের পেশী গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। খুব অল্প পরিমাণ প্রোটিন থাকলেও প্রতিদিন প্রোটিণ পেতে লেটুসপাতা একটি উপায় হতে পারে। স্যালাডে শিমের বীজের সঙ্গে লেটুস ব্যবহার করলে প্রচুর প্রোটিন পাবেন।
৪) লেটুস পাতায় কম পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তবুও নিয়মিত ক্যালসিয়াম পেতে পারেন লেটুসপাতা থেকে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। অন্যান্য ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবারের সঙ্গে লেটুস মেশাতে পারেন।
৫) পটাসিয়াম রক্তের জন্য উপকারী। রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ অতিমাত্রায় কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। লেটুস পাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম পাওয়া যায়।- ওয়েবসাইট।