বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ায় কাজের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আগে শুধু প্লান্টেশন খাতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া হতো। এখন থেকে অবকাঠামো, সার্ভিস, ম্যানুফ্যাকচারিংসহ সকল ক্ষেত্রেই শ্রমিক নেওয়া হবে। সোমবার প্রবাসীকল্যাণ ভবনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ত অনিক জায়েমের সাথে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এছাড়া প্লান্টেশন খাতে মালয়েশিয়ার সাবা সারওয়াক প্রদেশে ১২ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে। তবে সকল ক্ষেত্রেই নিবন্ধিত হওয়ায় ১৪ লাখ লোক থেকেই বিদেশে শ্রমিক পাঠানো হবে। নিবন্ধনের বাইরে কোনো শ্রমিক নেওয়া হবে না বলেও তিনি ঘোষণা করেন।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে শুধু প্লান্টেশন নয়, সকল সেক্টরেই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া হবে। এটি আমাদের জন্য বিরাট সুযোগ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এজন্য খুব শিগগিরই বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজন এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিভাগের সচিবসহ তিনজনের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। তারা সব কিছু বিবেচনা করে কার্যপরিকল্পনা তৈরি করবে। এছাড়া জিটুজি পদ্ধতিতে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা রয়েছে সেগুলোর বিষয়েও এই কমিটি কাজ করবে। এরপর খুব কম সময়ের মধ্যেই কর্মী পাঠানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ত অনিক জায়েম বলেন, বাংলাদেশ থেকে খুব শিগগিরই কর্মী নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের সকল বায়োডাটা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হবে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যে কমিটি গঠন করা হবে তারাই এটা নিয়ে কাজ করবে।
সোমবার বিকাল ৫টায় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মালয়েশিয়ার ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন সেদেশের মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ত অনিক জায়েম। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এ প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসীকল্যাণ সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন, বিএমইটির মহাপরিচালক বেগম শামসুন্নাহার, যুগ্ম সচিব নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব আসাদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক কেএম আলী আজম, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সালমা বিনতে কাদির প্রমুখ।