Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভারতের স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষস্থানে স্যামসাং

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ভারতের স্মার্টফোন বাজারের ২৯ শতাংশ দখল নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। ১৮ শতাংশ দখল নিয়ে এ বাজারে স্যামসাংয়ের পরের অবস্থানেই রয়েছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান মাইক্রোম্যাক্স। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি) তাদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Samsungএশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে ভারতের স্মার্টফোন বাজারের পরিধি বাড়ছে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে এ বাজারে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে স্যামসাং। প্রতিবেদনে আইডিসি জানায়, গত বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের একই সময় দেশটিতে স্মার্টফোনের বাজার বেড়েছে ৮৪ শতাংশ। গত বছরের এ সময় ভারতে মোট স্মার্টফোন সরবরাহ হয় ১ কোটি ২০ লাখ ইউনিট। সে তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে স্মার্টফোন সরবরাহ হয় ১ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ইউনিট।

chardike-ad

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশটিতে মোট স্মার্টফোন বিক্রি হয় ১ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ইউনিট, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮৬ শতাংশ বেশি। দ্রুতবর্ধমান স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থান দখল করেছে স্যামসাং। বর্তমানে এ বাজারের ২৯ শতাংশ দখলে রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি। ১৮ শতাংশ দখলে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মাইক্রোম্যাক্স। ৮ শতাংশ বাজার দখল নিয়ে এর পরের অবস্থানেই রয়েছে কার্বন এবং ৬ শতাংশ বাজার দখল নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে লাভা।

প্রতিবেদনে আইডিসি জানায়, স্যামসাং শীর্ষস্থানে থাকলেও মাইক্রোম্যাক্সের বাজার বাড়ছে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে। এ কারণে বাজারে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে স্যামসাংকেও জোরেশোরে চেষ্টা চালাতে হবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে আইডিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়দীপ বলেন, ‘স্যামসাংকে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে হলে কম দামের স্মার্টফোনের বাজারে অধিক মনোনিবেশ করতে হবে। মাইক্রোম্যাক্স বাজার দখলে অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে কম দামের নতুন ডিভাইসের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে।’

চলতি বছরের বাকি প্রান্তিকগুলোয় বাজার দখলে স্মার্টফোন নির্মাতাদের এ অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন জয়দীপ। তার মতে, যে প্রতিষ্ঠান উন্নত ডিভাইস কম দামে সরবরাহ করতে পারবে, তারাই বাজার দখলে এগিয়ে যাবে। স্যামসাং এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনে তাদের শীর্ষস্থান হারিয়েছে। চীনে স্যামসাংয়ের জায়গা দখল করে নিয়েছে দেশটির স্থানীয় প্রতিষ্ঠান জিয়াওমি। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে কিছুটা খারাপ সময়ই কাটাচ্ছে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে স্যামসাং নিয়মিত নতুন নতুন ডিভাইস বাজারে আনছে। গ্যালাক্সি আলফা, নোট ফোরের মতো ডিভাইসগুলো বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নেবে বলে আশাবাদী স্যামসাং কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ফিচারফোন থেকে সাধারণ গ্রাহকদের ঝোঁক স্মার্টফোনের দিকে বাড়তে থাকায় দেশটিতে স্মার্টফোনের বিক্রি বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। বর্তমানে চীন ও ভারতকে মোবাইল ডিভাইস নির্মাতাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে চীনে শীর্ষস্থান হারানো ও ভারতে শীর্ষস্থান দখল দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটির জন্য ভিন্নধর্মী প্রভাব রাখবে।

বর্তমান মোবাইল ডিভাইসের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা কম দামের স্মার্টফোনগুলোর। এ কারণে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তাদের ডিভাইসের দাম হ্রাসের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এক্ষেত্রে মোবাইল ডিভাইসের গুণগত মান ধরে রাখাও একইভাবে জরুরি বিষয়। এ কারণে ডিভাইসের মান ধরে রেখে যারা দাম তুলনামূলক কমাতে পারবে, তারাই সংশ্লিষ্ট বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পারবে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্যামসাংও একই কৌশল অবলম্বন করছে। কিন্তু অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্যামসাং নতুন কী কৌশল অবলম্বন করবে, তাই এখন দেখার বিষয়। বণিকবার্তা,