শুক্রবার । ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ৬ অগাস্ট ২০২৫, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

অভ্যুত্থানের এক বছর পরও নিহতের আসল সংখ্যা নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’


কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলন। একদিকে সরকারের বল প্রয়োগ, অন্যদিকে ছাত্র জনতার অনড় অবস্থান। এর মধ্যে দিয়ে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছরের শাসন আমলের।

জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো আন্দোলন ঘিরে এত প্রাণহানি ও রক্তপাতের ঘটনা দেখা যায়নি।

কিন্তু এই গণঅভ্যুত্থান ঘিরে ঠিক কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেটি নিয়েও নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

কেননা, সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যে গেজেট তৈরি করেছে, তাতে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ৮৪৪ জন। গেজেটে যাদেরকে ‘শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে সরকার।

অন্যদিকে, এই আন্দোলন ঘিরে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তাতে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে প্রায় ১৪০০ জন।

সরকারের তালিকা ও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যায় এতটা পার্থক্য কেন সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।

সরকারের হিসাব বলছে, আন্দোলনে নিহত যে ৮৪৪ জনের নামে গেজেট করেছে সেখানেও কারো কারো নাম একাধিকবার এসেছে। সে কারণে তালিকায় কাঁটাছেড়াও করতে হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশরাত চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “গেজেট আকারে তালিকা প্রকাশের পর আমাদের কাছে অভিযোগও এসেছে। যেগুলো আমরা তদন্ত করছি। এমন কিছু নাম গেজেট থেকে বাতিল হচ্ছে।”

জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও সরকারের তালিকায় এই তফাৎ নিয়েও দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।

জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, গত বছরের জুলাই-অগাস্টে শুধু আন্দোলনকারী নয়, নিহত হয়েছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও।

কিন্তু সরকারি গেজেটে শুধু যুক্ত করা হয়েছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে নিহতদের নাম। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটিই শুধু একমাত্র কারণ নয়।

একদিকে ভুয়া ব্যক্তিদের নামও যেমন সরকারি গেজেটে এসেছে, অন্যদিকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা অনেককে গেজেট তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি