Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এবারও শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে এগিয়ে মালালা

nobel২০১৪র নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই, এডওয়ার্ড স্নোডেন এবং পোপ ফ্রান্সিস।  আগামী ১০ অক্টোবর থেকে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। চলতি বছরের শান্তি পুরস্কারের তালিকায় ২৭৮ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নাম আছে। কিন্তু এই তালিকা এখন পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। তবে তাদের স্পন্সরকারীদের বরাতে কিছু নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত যাদের নাম গণমাধ্যমে এসেছে তাদের মাঝে সর্বপ্রথম উল্লেখ্য, সাবেক মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন। ২০১৩র মে মাসে এডওয়ার্ড স্নোডেন ফাঁস করে দেন যে, প্রিজম কর্মসূচির আওতায় ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, ইয়াহু, ইউটিউব এবং অ্যাপলসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়েই তাদের সার্ভারে সরাসরি প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করে আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসআই) ও ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)৷ যা ছিল মারাত্মক অসাংবিধানিক কাজ। নরওয়ের দুইজন সংসদ সদস্য তাকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। স্নোডেন বর্তমানে রাশিয়ায় পালিয়ে আছেন। তবে ইতিমধ্যেই ২০১৪ সালের সুইডিশ মানবাধিকার পুরস্কার রাইট লিভলিহুড অ্যাওয়ার্ড বা ‘অলটারনেটিভ নোবেল’ পুরস্কার নিজের ঝুলিতে ভরে ফেলেছেন সিআইয়ের সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন ৷ যে পুরস্কারের সাম্মানিক মূল্য ১৫ লাখ সুইডিশ ক্রোনোর৷

chardike-ad

এদিকে ধন-সম্পদের সুষম বণ্টন এবং গরীবদের সহায়তার জন্য ধনীদের এগিয়ে আসার প্রচার চালানোর জন্য পুরস্কারের তালিকায় পোপ ফ্রান্সিসও রয়েছেন।

অপরদিকে নারী শিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য গত বছর গুঞ্জন উঠেছিল পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই পেতে চলেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পাননি। তবে এবার হয়তো গত বছরের গুঞ্জনটা সত্যি হয়েও যেতে পারে। ১৭ বছর বয়সী মালালা স্কুলে যাওয়ার জন্য ২০১২ সালে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমে তালেবানদের গুলিতে আহত হন। তবে সেপ্টেম্বরেই মালালার ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে পাক সেনা। ইতিমধ্যেই নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য মালালা ইউসুফজাইকে ব্রিটেনের সবচেয়ে প্রভাবশালী এশিয়ানের খেতাব দিয়েছে লন্ডনের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা৷ মালালা উপস্থিত না থাকলেও তার পরিবারের হাতে সেই পুরষ্কার তুলে দেন বৃটেনের উপ প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেড৷- ওয়েবসাইট।