বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান সম্পন্ন, রিপোর্ট নিয়ে যা জানালো মেডিকেল বোর্ড


khaleda-zia

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া/ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্টও নরমাল (স্বাভাবিক) এসেছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

মেডিকেল বোর্ড জানায়, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দেশের মধ্যেই তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সিটিস্ক্যান, ইসিজিসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার ফল ভালো এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা। বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্যারামিটারেও উন্নতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এর আগে গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কপি সম্পন্ন হয়। এতে তার পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে বলে সেদিনই জানিয়েছিল মেডিকেল বোর্ড।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখতে ও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে রোববারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেছেন ডাক্তার জুবাইদা রহমান। রাত ১০টায় মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

টানা ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার শেষ তারিখ ছিল রোববার। তবে শারীরিক অবস্থার পর্যাপ্ত উন্নতি না হওয়ায় আপাতত লন্ডনে যাওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার শরীরে আরও কিছু জটিলতা দেখা দেয়। বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এসব কারণে বিদেশে স্থানান্তরের মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা এখনো অর্জিত হয়নি।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী জটিলতায় ভুগছেন। ২৩ নভেম্বর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তখন থেকেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।