মংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত ৩৬৪টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ফলে চরম আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা। গত ২৩ জুলাই প্রায় ২ হাজার ১৩৬টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিলামের মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হলেও বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে সেটি স্থগিত হয়। পাঁচ মাস পর গত সোমবার ৩৬৪টি গাড়ি নিলামের ব্যবস্থা করা হয়।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম মোক্তাদির জানান, মংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত ৩৬৪টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ির নিলাম দিয়েছে কাস্টমস। এ বিষয়টি কাস্টমস তদারকি করছে।
মংলা কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার তহমিনা ইয়াসমিন পলি বলেন, ‘বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নিয়েছে। নিলামের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় প্রয়োজন। তাই এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।’ নিলামে গাড়ি বিক্রির এ অর্থ সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হবে বলে জানান তিনি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমদানিকারকরা তাদের গাড়ির ছাড়পত্র করাতে না পারায় নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এদিকে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিনওয়া অটোমোবাইলসের মালিক ক্যাপ্টেন মো. রফিক বলেন, ‘নতুন ও পুরনো গাড়ির জন্য একই কর ধার্য করায় দামের বৈষম্য সৃষ্টি হয়। এ কারণে গাড়ি বিক্রি করতে পারেনি তারা। ফলে আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’ তিনি আরো বলেন, আমদানি নীতিতে পাঁচ বছরের অধিক পুরনো গাড়ি ছাড়পত্রকরণের ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু দুই বছর ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গাড়ির ছাড়পত্র না দেয়ায় মংলা বন্দরে গাড়ির জট বেড়ে যায়।
জানা গেছে, মংলা বন্দর দিয়ে আমদানির কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গাড়ি ছাড়পত্রকরণের অনুমতি পাননি আমদানিকারকরা। সময়মতো গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে না পারায় ওইসব গাড়ি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয় মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মংলা বন্দর দিয়ে আমদানির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জটিলতার কারণে যেসব গাড়ি ছাড়িয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি, সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিলামের মাধ্যমে বিক্রির কথা জানিয়েছে মংলা কাস্টমস হাউজ। নিলামে গাড়ি বিক্রির অর্থ পুরোটাই সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হবে। বণিকবার্তা।