Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কেমন হবে সৌদি প্রবাসিদের আচরণ?

saudi-arabian-flag

প্রত্যেক দেশেরই রয়েছে নিজন্স কিছু আচার-আচরণ, যা অন্যান্য দেশ থেকে কিছুটা ভিন্ন। সৌদি আরবেরও রয়েছে ভিন্ন এমন কিছু আচরণ যা সৌদি প্রবাসিদের মেনে চলা উচিত। তো চলুন দেখা যাক সৌদি প্রবাসিদের আচরণ কেমন হওয়া উচিতঃ

chardike-ad

অন্য কাউকে সম্ভাষণ জানাতেঃ
• কোনো অফিস অথবা রুমে প্রবেশের সময় উপস্থিত লোকদের “আসসালামু আলাইকুম” (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) বলে সম্ভাষণ জানাতে হবে।
• “আসসালামু আলাইকুম” বলে অন্য কেউ সম্ভাষণ করলে বিনয়ের সাথে “ওয়া-আলাইকুম আস-সালাম” (এবং আপনার উপরেও শান্তি বর্ষিত হোক) বলে উত্তর দিতে হবে।

গৃহে প্রবেশের সময়ঃ
• কোনো বৈঠকখানা, পবিত্র স্থান অথবা বাড়িতে ঢোকার সময় জুতা খুলে রাখা উচিত, যদি খুলতে বারণ করা না হয়।
• আপ্যায়নকারী গৃহকর্তা এবং উপস্থিত অন্যদের ভালোকরে লক্ষ্য করা এবং এসব চর্চা করা।
• কারো বাসায় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টার মাঝে যাওয়া উচিত নয়, এটা সাধারণত স্থানীয়দের ভাতঘুম (দুপুরের ঘুম)-এর সময়।

কারো সাথে পরিচিত হবার সময়ঃ
• লোকজনের সাথে দেখা কিংবা পরিচিত হলে করমর্দন করাটাই রীতি।
• পুরুষ হলে নারীদের সাথে এবং নারী হলে পুরুষের সাথে করমর্দন করা যাবে না।
• সম্ভাষণের অন্যান্য পন্থা হলোঃ “শেখ”, “হাজী” (মক্কায় হজ্বব্রত পালন করেছেন এমন ব্যক্তিগণ), “সাঈদ” অথবা “সৈয়দ” (জনাব) এবং কোনো প্রথম নামের পূর্বে “আবু” (পিতা)।
• কাউকে কোনো ডাকনাম অথবা শুনতে অদ্ভুত লাগে এমন কোনো অপনামে ডাকা নিষেধ।
• কাউকে আঙ্গুলের ইশারায় “এদিকে এসো/আসুন” বলে ডাকা যাবেনা, এতে তিনি অপমানিত বোধ করতে পারেন।

স্থানীয়দের সাথে মেলামেশার সময়ঃ
• আরবী শেখার চেষ্টা করা। এটা কাজ এবং উন্নতির ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
• অন্ততপক্ষে সাধারণ কিছু সৌজন্যমূলক (আরবী) কথা শেখা। এটা অনেক সমাদৃত হবে।
• মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা পরিহার করা।
• পূর্ব পরিচিত না হলে, পুরুষ হলে কোনো নারীর সাথে কথা না বলা।
• যার সাথে কথা বলা হচ্ছে, তার দিকে আঙ্গুল কখনো তাক করা যাবে না।
• কারো সাথে কথা বলার সময় যেন দু পা ভাঁজ না থাকে কিংবা পায়ের পাতার নীচের অংশ যেন না দেখা যায়।
• এমন কোনো জীবনাচরণ কিংবা রীতি নিয়ে হাসা যাবে না, যেগুলো নিজের কাছে অপরিচিত কিংবা অদ্ভুত।
• উচ্চস্বরে কথা বলা কিংবা হাসা থেকে বিরত থাকা।

পোষাক পরিচ্ছদ এবং কাপড় পরাঃ
• সাঁতার কিংবা খেলাসংক্রান্ত ব্যাপার ছাড়া কখনো শর্টস্‌ (হাফপ্যান্ট) পরে কারো সামনে আসা যাবে না, পুরুষ কিংবা নারী, যে-ই হোক।
• নারীগণ সবসময়েই শালীন পোষাক পরবে, উর্দ্ধবাহু এবং কাঁধ ঢেকে রাখবে।
• পুরুষরা পরিষ্কার ও নতুন পোষাক পরবে।
• জনসমক্ষে বেরুলে নারীরা অবশ্যই “আবাইয়া”(বোরকা) নামক সর্বাঙ্গ ঢাকা পোষাক পরিধান করবে।
কাউকে কিছু দিতে বা কারো কাছ থেকে কিছু নেয়ার সময়
• কোনো আরব (অথবা মুসলিম)-এর কাছ থেকে কিছু নেয়ার সময় (অথবা তাকে কিছু দেবার সময়) ডান হাত ব্যাবহার করতে হবে। কখনো এক্ষেত্রে বাম হাত ব্যবহার করা যাবে না।
• খাওয়া, বই অথবা পরিষ্কার কিছু বহন করা অথবা ধরার জন্যে ডান হাত ব্যবহার করতে হবে। বাম হাত ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহার করা হয়।

চা ও কফি পানের নিমন্ত্রণেঃ
• কোনো সৌদীর বাসায় দু কাপ চা (বেশীও নয়, কমও নয়) পান করা সৌজন্যের পরিচায়ক। চা পান করা হয়ে গেলে কাপের উপর হাত রেখে অথবা কাপটি ডানে-বায়ে হেলিয়ে চা পরিবেশনকারীকে ফেরত দিতে হবে, এতে সে বুঝে যাবে আর চায়ের প্রয়োজন নেই।
• চায়ের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা উচিত। সম্মানিত অতিথি হিসেবে এই নিমন্ত্রণ করা হয়। নেহায়েত কোনো কারণে নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে হলে খুবই সৌজন্য ও বিনয়ের সাথে তা করতে হবে।

ভোজ অনুষ্ঠানেঃ
• ছুরি এবং কাঁটাচামচ অথবা চামচ এবং কাঁটাচামচ ব্যবহার করা। সাধারণ পশ্চিমা ধাঁচেই খাবার পরিবেশন করা হবে।
• খাবার টেবিলে ঢেঁকুর তোলা যাবে না।
• পবিত্র রমজান মাসে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অথবা কোনো মুসলিমের সামনে কিছু খাওয়া যাবে না।
• কোনো খাবার উৎসবে যদি বিরাট একটি থালাতেই খাবার দেয়া হয় এবং কোনো ছুরি/চামচ না দেয়া হয়, তবে সেখান থেকে শুধুমাত্র ডান হাত দিয়ে খাবার নিতে ও খেতে হবে।
• শুকর ও কুকুরের মাংস নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। এগুলোকে তারা খুবই নোংরা এবং অখাদ্য মনে করে। তাদের ধর্মে কুকুর সম্পর্কে বিরূপ ধারণা রয়েছে।

অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়র কথা ভাবলেঃ
• কখনোই অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় গ্রহণ কিংবা পরিবেশন করা যাবেনা। মাদকদ্রব্যের মতোই অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় গ্রহণ অথবা সংরক্ষণ করা নিষিদ্ধ এবং আইনানুযায়ী শাস্তিযোগ্য।
• নতুন আগতদের উচিত পানিশূন্যতা হতে রক্ষা পেতে প্রচুর পানি পান করা, বিশেষত গ্রীষ্মকালে।
• মদ প্রস্তুত, বিক্রি এবং পান করা আইনানুগভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ধর্ম বোঝার চেষ্টা করার ব্যাপারেঃ
• ধর্মকে উদ্ধৃত করতে “ইসলাম” শব্দটি ব্যবহার করতে হবে, “মোহাম্মোদীয়” নয়; এবং ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করতে “মুসলিম” অথবা “মোসলেম” শব্দ ব্যবহার করতে হবে, “মোহামেডান” নয়।
• ইসলাম অর্থ “স্রষ্টার প্রতি সমর্পিত”।
• ধর্মীয় আলোচনা করা উচিত নয়। কারো কারো কাছে এটা খুবই সংবেদনশীল বিষয়।
• কখনো প্রভূ (আল্লাহ্‌), কুর’আন এবং নবী মোহাম্মদ ও অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিগণের নাম অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে উল্লেখ করা যাবে না। বলতে হবে “আল্লাহ্‌ তা’য়ালা”, “কুর’আন আল-করীম” (পবিত্র কুর’আন) এবং “রাসুল আল্লাহ্‌” (আল্লাহ্‌র বার্তাবাহক)।
• অমুসলিম হলে অনুমতি ব্যতিরেকে মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করা যাবে না।
• অমুসলিম হলে মক্কা ও মদীনা নগরীতে প্রবেশ করা যাবে না।

মুসলিমদের প্রার্থনা বোঝার চেষ্টা করাঃ
• দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, সন্ধ্যা ৫টা, রাত ৭:৩০ এবং ভোর ৩:৩০ এ প্রার্থনা করা (নামায) হয়। তবে এ সময়গুলো মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।
• দৈনিক প্রার্থনা(নামায)-এর সময়গুলোতে ব্যবসায়িক কাজের চেষ্টা করা যাবে না।
• যখন কেউ নামায পড়ছে অথবা অথবা ক্যাসেট, টিভি অথবা রেডিওতে কুর’আন পাঠ হচ্ছে তখন কথা বলা, গান শোনা অথবা কোনো ধরনের শব্দ করা যাবে না।
• নামাযরত অবস্থায় আছে, এমন কারো সামনে দিয়ে হাঁটা যাবে না।
• এমন কারো দিকে একদৃষ্টে তাকানো যাবে না, যে নামায পড়ছে।
• নামাযের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে এমন সময়ে নামাযের মাদুর(জায়নামাজ)-এ পা দেয়া যাবে না।

প্রবিত্র কুর’আন বোঝার ব্যাপারেঃ
• কারো ব্যক্তিগত অফিস অথবা বাসায় পবিত্র কুর’আন অথবা অন্য কোনো ধর্মীয় বই ধরা যাবে না। এটা খুবই অযাচিত আচরণ। এমনকি কোনো মুসলিমের জন্যেও অপরিচ্ছন্ন (অজুবিহীন) অবস্থায় এসব পুস্তক ধরার অনুমতি নেই।

ধর্মীয় জিনিস বহন করার ক্ষেত্রেঃ
• মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো, বিশেষত সৌদী আরব, ভ্রমণের সময় বাইবেল, (খৃষ্টান/ভিন্ন ধর্মীয়) জপমালা (তসবি), মেডেল, স্মারক ইত্যাদি যেকোনো অমুসলিম ধর্মীয় দ্রব্যাদি নিজের সাথে রাখা যাবে না।
• সৌদী রাজতন্ত্রে ধর্মান্তরিত করা নিষিদ্ধ।

স্থানীয় এবং মুসলিম উৎসবে অংশগ্রহণের সময়ঃ
• প্রত্যেক মুসলমান ঈদ-উল-ফিতর (উপবাসের পবিত্র মাস রমযানের অবসানে) এবং ঈদ-উল-আযহা (মক্কায় তীর্থযাত্রার সময়, হজ্ব নামে বেশি পরিচিত) উৎসব উদযাপন করে থাকে।
• এগুলোসহ অন্যান্য মুসলিম উৎসবের সাথে নিজেকে পরিচিত করে ফেলা উচিত।
• পবিত্র রমযান মাসে দিনের বেলা প্রকাশ্যে খাওয়া, পান করা এবং ধূমপান কঠোরভাবে নিষেধ। এসব কাজে ধরা পরলে শাস্তিস্বরূপ সৌদি আরব হতে বিতাড়ন করা হবে।

গাড়ি চালনার ক্ষেত্রেঃ
• সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো নিষেধ।
• সতর্কভাবে গাড়ি চালানো উচিত। স্থানীয়রা সাধারণত উগ্রভাবেই গাড়ি চালায়।

ছবি তোলার ক্ষেত্রেঃ
• কারো ছবি ঐ ব্যক্তির পূর্বানুমতি ছাড়া তোলা যাবে না।
• দাপ্তরিক অনুমতি ছাড়া কোনো সামরিক স্থাপনা, বন্দর এবং বিমানবন্দরের ছবি তোলা যাবে না।
• কোনো অশ্লীল অথবা যৌনোদ্দীপক ছবি, টেপ অথবা ম্যাগাজিন/বই সাথে আনা যাবে না।

নারীদের সাথে আচরণঃ
• কোনো নারীর দিকে একদৃষ্টে তাকানো যাবে না।
• নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরে নারীদের একা বাইরে যাওয়া উচিত নয়।
• প্রকাশ্য স্থানে নারীদের তাদের স্বামীর সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলা উচিত নয়। তারা স্বামী ছাড়াও অন্য পুরুষ বন্ধুর সাথে বাইরে যেতে পারে, তবে নিজেদের মাঝে দূরত্ব বজায় রেখে।
• সবসময়েই নারীদের উচিত উগ্র আচরণ ও প্রকাশভঙ্গী পরিহার করা।

প্রমোদ ভ্রমণের ক্ষেত্রেঃ
• ডিস্কো নাচ নিষিদ্ধ।
• লটারী জাতীয় টিকেট বিক্রি নিষেধ, যেহেতু এটাকে জুয়া খেলার সাথে তুলনা করা হয়।
জুটি (নারী-পুরুষ) হিসেবে বাইরে যাওয়া
• নিজেরা স্বামী-স্ত্রী অথবা আইনগতভাবে বাগদত্তা হলেও প্রকাশ্য স্থানে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরা, রোমান্টিকভাবে হাত ধরা অথবা কোনো রোমান্টিক আচরণ করা নিষেধ। এসব আচরণ জন-নৈতিকতার বিরুদ্ধ হিসেবে ধরা হয়।
• কোনো সৌদিকে তার স্ত্রীসহ কোনো অনুষ্ঠানে আসতে জোর করা যাবে না। এখানে দু ধরনের সামাজিক বিভাগ রয়েছেঃ নারী ও পুরুষ; তারা সাধারণত নিজেদের মাঝে প্রকাশ্য কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে মেলামেশা করে না।

বকশিশ দেয়ার ক্ষেত্রেঃ
• ট্যাক্সিচালক ও নাপিতরা বকশিশ নেয় না।
• বকশিশ দেয়া বেশ অপ্রচলিত, শুধুমাত্র বিমানবন্দরের কুলি এবং হোটেলের ওয়েটার/কুলিদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।

দুর্ঘটনা অথবা প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার ক্ষেত্রেঃ
• কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ডাক্তার, চিকিৎসা কর্মী অথবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারো দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া যাবে না।
স্থানীয় মেজবানের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে অথবা সৌদি আরব/মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে আরো জানতে হলে
• তাদের জীবনাচার, ঐতিহ্য এবং ধর্ম সম্পর্কে জানা।
• তাদের বাড়ির নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা।
• নিজেকে লোকজনের সাথে পরিচিত করা।
• স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন সামগ্রী ব্যবহার করা।
• নিজের মানসিক আচরণ এবং বহিঃপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করা।
• সবসময় বিনয়ী থাকা।
• নিজের মেজবানের প্রতি শ্রদ্ধা ও সৌজন্য দেখানো।

(সৌদি আরব হতে) বহিষ্কৃত হবার কারণসমূহঃ
• অপরাধ এবং বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত থাকা।
• জাল কাগজপত্র/দলিল ব্যবহার করা।
• প্রয়োজনীয় আবাসন/কার্যানুমতি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া।

সৌদি পতাকা/রাজবংশের প্রতি সম্মান দেখানোঃ
• কখনোই সৌদি পতাকা অথবা রাজবংশের প্রতি অসম্মান দেখানো যাবে না। সৌদি পতাকার ট্যাটু করা বিদ্বেষমূলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ইক্বামা/পাসপোর্ট বহনের বিষয়
• সবসময়েই ইক্বামা (বসবাসের অনুমতিপত্র) এবং পাসপোর্টের একটি কপি নিজের সাথে রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময়েই পরিচয় যাচাইয়ের স্বার্থে এইসব কাগজ দেখতে চাওয়ার অধিকার রাখে। সৌদি আরবের অধিকাংশ নাগরিক আদান-প্রদান ইক্বামা প্রদর্শনের ভিত্তিতেই হয়ে থাকে।
• সবসময়েই ইক্বামা এবং পাসপোর্টে মেয়াদ পরীক্ষা করে দেখা উচিত। এই দুটি কাগজের একটিও যেন মেয়াদোত্তীর্ণ না হয়। পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস বাকি থাকা উচিত।

ঋণ দেয়া/নেয়ার বিষয়ঃ
• সুদের বিনিময়ে ঋণ দেয়া ও নেয়া নিষিদ্ধ।
• ঋণের জামিনদার হলে ঋণের সম্পূর্ণ অর্থের জন্যেই দায়িত্ব নিতে হবে।
• ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে কারাভোগও করতে হতে পারে, এমনকি জামিনদারকেও।

মাদকদ্রব্যসংক্রান্ত বিষয়ঃ
• সকল প্রকার মাদকদ্রব্য সৌদি আরবে নিষিদ্ধ।
• অতি সামান্য পরিমাণে হলেও, মাদকদ্রব্য বহন করা অপরাধমূলক কাজ।
• মাদকদ্রব্য প্রস্তুত, বিক্রি, ব্যবহার অথবা বহন সবকিছুই অপরাধমূলক হিসেবে বিবেচিত।
• এমনকি শুকনো হবার ট্যাবলেট কিংবা ওষুধেও যদি সামান্য পরিমাণে মাদক থাকে, সেটাও নিষিদ্ধ।