Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারের ভয়াবহ পরিকল্পনা!

destructiveness

ব্যাপক নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। আর পরিকল্পনাটি এসেছে ‘র’ এর ঢাকাস্থ স্টেশন থেকে। দ্রুত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন। নাশকতার পর এর দায় বিরোধীদের উপর চাপানোর প্রস্তুুতিও চুড়ান্ত। এই প্রস্তুতির অংশ হিসাবে নাশকতার পর সরকারের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলকের বা সেই রকম বিশ্বস্ত কারো নেতৃত্বে ঢাকার শাহবাগে নাশকতা ও সন্ত্রাস বিরোধী মঞ্চ হবে। শনিবার থেকে যে কোনদিন এই মঞ্চ বসার চুড়ান্ত উদ্যোগ রয়েছে। নাশকতার ঘটনা গুলো ঘটবে যে কোনদিন মঞ্চ বসার আগেই। এই মঞ্চে সরকারের শেল্টারে বিপুল লোক সমাগমের ব্যবস্থা করে পাল্টা গণ-অভ্যুত্থানের চেস্টা চলছে। অভিনব এক আন্দোলন বিরোধী গণ-অভ্যুত্থান। যাতে করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন ভেস্তে যায় এবং সেই সাথে দেশ ও জাতির পক্ষের কোন সামরিক শক্তি যেন কোন রকম ভাবেই অবৈধ এই সরকারের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে সাহসী না হয়।

chardike-ad

এদিকে নাশকতার চিত্র ধারনের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকার মতিঝিল, গুলশান ও ফার্ম গেইট সহ ৫ জায়গায় ৭১ টেলিভিশনের ক্যামেরা মোতায়েন করা হয়েছে। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব প্রস্তুতি নেয়া হয়। ব্যাপক প্রণাহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে সরকারের পরিকল্পিত নাশকতায়। এই প্রণহানির চিত্রই হবে বিরোধী দল গুলোর আন্দোলন বিরোধী প্রচারণার মূল অস্ত্র। নাশকতা ভারতীয় পক্ষের লোকজন করলেও সেটি সরকার বিরোধীরা করছে বলেই প্রায় সকল মিডিয়া থেকেই প্রচারণা চালানো হবে। এজন্য নাশকতার টার্গেট এলাকা গুলোতে টেলিভিশন চ্যানেল মোতায়েনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যে কোন সময় বহু বিভক্ত গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের বা অন্য কোন ব্যানারে মিছিল বের হবে। সরকারি সেল্টারে মিছিলটি বের হবে। এই মিছিলের পরপরই ঢাকার মতিঝিল, গুলশান, ফার্মগেইট, মহাখালীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন এলাকায় ব্যাপক নাশকতা করা হবে। এই নাশকতার ভয়বহতা প্রচার করে অবরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনমত উস্কে দেয়ার চেস্টা চালাবে আওয়ামী সমর্থিত টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। এজন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই ক্যামেরা মোতায়েন করা হয়েছে তাদের পরিকল্পিত এলাকা গুলোতে।

র‍্যাব ও পুলিশে যে সকল আওয়ামী লীগের কর্মীদের ট্রেনিং দিয়ে চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে গত ৬ বছরে, এদের মধ্য থেকেই প্রায় হাজার খানেক সদস্য বাছাই করা হয়েছে এই নাশকতার কাজে অংশ নিতে। তবে এই রিক্রুটদের মধ্য থেকেও আবার মাত্র ২৭ জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নাশকতায় নেতৃত্ব দিতে যাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন পুর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি অবগত বলে গোয়েন্দা সুত্র নিশ্চিত করেছে। এদের মনিটরের দায়িত্বে থাকবে মেজর জেনারেল (অব) তারিক সিদ্দিকি। তাকে সহায়তা দেবে র‍্যাবের ১জন, ডিবির ১জন এবং ডিজিএফআই এর একজন করে অফিসার।

আপাতত ৭১টিভিসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা যেখানে মোতায়েন দেখা যাবে সেই জায়গা গুলো হচ্ছে সরকারি নাশকতা পরিকল্পনার টার্গেট। সূত্রটি জানায়, চার দলীয় জোট সরকারের আমলে ৬৪ জেলায় জেএমবি’র মাধ্যমে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যেভাবে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালানো হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় নাশকতা হবে এক যোগে বিভিন্ন জায়গায়। এবার সরকার বিরোধী প্রচারণার জন্য নয়, এবার নাশকতা হবে সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছে তাদের ঘা ঘায়েল করতে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নাশকতার দায় চাপানো হবে এবার। তাই দেশপ্রেমিক সকল মহলকে সাবধান থাকার জন্য সবাইকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। ইউরোবিডিনিউজ