বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য নতুন আইন করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার আইন মন্ত্রণালয়। পড়াশোনা শেষ করে মেধাবী বিদেশী শিক্ষার্থীরা যাতে কোরিয়ায় বসবাস করতে পারে সেই লক্ষ্যে নতুন আইনে বেশ কিছু নিয়ম কানুন সহজ করা হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার আইন মন্ত্রাণালয় এই নতুন আইন প্রণয়ন করে।
যেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তনের আনা হয়েছে তা হলো-
– কোরিয়ায় স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর পাস করা যেকোনো বিদেশী শিক্ষার্থীই ই-৭ (নির্দিষ্ট কাজের জন্য) ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পূর্বের আইনে শুধু পড়ালেখার বিষয়বস্তুর সাথে চাকরির ধরণ মিললেই কেবল আবেদন করা যেত। একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা শিক্ষার্থী মার্কেটিং এ চাকরির সুযোগ পেলেও ই-৭ ভিসা পাবেন, যা পূর্বে আইন অনুযায়ী আবেদন করা যেত না।
– বিদেশী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পেলেও ডি-১০ ভিসা নিয়ে দুই বছর কোরিয়ায় অবস্থান করতে পারবেন। এছাড়া ডি-১০ ভিসার জন্য এখন আর সুনির্দিষ্ট ফলাফল ( জিপিএ ৩), জাতীয় সনদপত্র এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অথবা অধ্যাপকের সুপারিশের প্রয়োজন হবে না।
– স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার পাবার ক্ষেত্রেও নিয়মে শিথিলতা আনা হয়েছে। বিজ্ঞান কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং এ যারা লেখা পড়া করেছেন এবং তিন বছরের বেশী সময় ধরে কোরিয়াতে বাস করে আসছেন এবং যাদের বাৎসরিক আয় কোরিয়ার গড় মাথাপিছু আয়ের তুলনায় বেশী, তারা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন অর্থাৎ পার্মানেন্ট রেসিডেন্স (এফ-৫ ভিসা) পাবেন।। বিজ্ঞান কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যতিত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা কোরিয়ায় মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি করেছেন তাদের ক্ষেত্রেও উপরোক্ত নিয়ম কার্যকর হবে।
– যারা মাস্টার্স এবং পিএইচডিতে অধ্যয়নরত, তারা প্রথম ছয় মাস থাকার পরে স্ত্রীকে অথবা বাবা মা দুইজনকে দক্ষিণ কোরিয়াতে নিয়ে আসতে পারবেন।
– মাস্টার্স ডিগ্রী প্রাপ্ত বিদেশী শিক্ষার্থীরা কোরিয়াতে ১০০ মিলিয়ন উওন বিনিয়োগ করলে পাবেন ডি-৯ ( আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভিসা)।
মূলত প্রতিভাবান বিদেশী শিক্ষার্থী ও দেশটিতে চলমান লোকবল সংকট উত্তরণের উদ্দ্যেশেই এই নতুন আইন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোরিয়ার আইন মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রাণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন “ আমরা আশা করি বিদেশী শিক্ষার্থীরা তাদের বুদ্ধি ও মনন দিয়ে আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবেন”।







































