Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদলীয় নেতাকে ছুরিকাঘাত

lee-jayeদক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান লি জায়ে-মাইয়ংকে গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে দেশটির বন্দরনগরী বুসানে সফরকালে তার গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লি জায়ে-মিউং অল্প ব্যবধানে হেরেছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়ুনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুসানে প্রস্তাবিত একটি বিমানবন্দরের জন্য নির্ধারিত এলাকা সফরে গিয়েছিলেন লি জায়ে-মাইয়ং। সেখানেই তাকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ছুরিকাঘাত করেন। পুলিশের ধারণা, ছুরিকাঘাতকারী ব্যক্তির বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

chardike-ad

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ধোঁকার আশ্রয় নিয়ে লিকে ছুরিকাঘাত করেছেন। ওই ব্যক্তি প্রথমে লির কাছে গিয়ে বিনীতভাবে একটি অটোগ্রাফ চান। পরে হঠাৎ লাফ দিয়ে আগে বেড়ে লিকে ছুরিকাঘাত করেন। তৎক্ষণাৎ ওই ব্যক্তিকে নিরস্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম ওয়াইটিএন সম্প্রচারিত ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক ভিডিও থেকে দেখা গেছে, লোকটি লির সামনে ঝুঁকে রয়েছেন। হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে আগে বেড়ে তার হাত লম্বা করে লির গলায় ছুরিকাঘাত করেন। পুরো বিষয়টি ঘটতে খুব বেশি সময় লাগেনি।

ছুরিকাঘাতের পরপরই লি খিঁচুনি দিয়ে মাটিতে পড়ে যান। লি জায়ে-মিউংয়ের ঘাড়ের বাঁ-পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়। ছুরিকাঘাতে লি জায়ে-মিউংয়ের ঘাড়ে প্রায় এক সেন্টিমিটার গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। হামলার পরপরই তাকে হেলিকপ্টারে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, লি জায়ে-মিউংয়ের জখম তার জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়। দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ছুরিকাঘাতের শিকার হওয়ার পর লি জায়ে-মিউংয়ের জ্ঞান ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র রাখা বা বহন করার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দেশটিতে অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে রাজনৈতিক সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে।

এর আগে ২০০৬ সালে তৎকালীন রক্ষণশীল বিরোধীদলীয় নেতা পার্ক গিউন-হাই (পরে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন) এক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতের শিকার হন। পরে তাকে অস্ত্রোপচারের মুখোমুখিও হতে হয়েছিল সেই ক্ষত থেকে সেরে উঠতে।

ছুরিকাঘাতের ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন