Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল

Khaleda-Ziaবিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ এপ্রিল ধার্য্য করেছেন আদালত। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল হয়নি।

বুধবার দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।

chardike-ad

আদালত বলেন, ‘আমি কোনো বায়াস প্লে করি না। খালেদা জিয়ার পক্ষে প্রায়ই সময়ের আবেদন করা হয়েছে। এমনকি খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে আদালতের সকল কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।

আদালত আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের মামলা যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায়ই আবার সচল হবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে তা নথিভুক্ত করা হলো।’

এর আগে শুনানি চলাকালে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে।

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে মামলার শুনানি চলাকালে আদালতের বাইরে বিকট শব্দে পর পর তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে পুরো আদালত চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলায় শুনানি শুরু হওয়ার পর খালেদা জিয়ার পক্ষে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার, আদেশ সংশোধন ও জামিন বহাল রাখার আবেদন এবং তারেক রহমানের পক্ষে হাজিরার সময় বাড়ানোর আবেদন নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

একপর্যায়ে বিচারক আবু আহমেদ জমাদ্দার আইনজীবী মোহাম্মদ আলীকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এটা ক্লাসরুম না, কলেজ না, বিশ্ববিদ্যালয় না, যে আপনি আমার ক্লাস নিবেন। আমাকে বুঝাবেন। আপনি যেভাবে ক্লাস নিচ্ছেন তা ঠিক নয়। আপনি মূল পয়েন্টে বক্তব্য দেন।’

বিচারকের এ কথায় আদালতের শুনানিকক্ষে উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হট্টগোল করতে শুরু করেন। তারা বিচারকের উদ্দেশে কটূক্তি করতে থাকেন। এরপর বিচারক সবাইকে থামিয়ে দেন।

এরপর বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। তিনি বিচারের ব্যাখ্যা চিফ জাস্টিসকেও দিয়ে থাকেন। আপনি (বিচারক) যে ভাষায় মোহাম্মদ আলীকে তিরস্কার করেছেন, তাতে শুধু তাকে না, সব আইনজীবীকেই অপমান করা হয়েছে।’

খন্দকার মাহবুব উদ্দিন খোকনের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানিকক্ষে উপস্থিত দুদকের আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করেন। তারা বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশে কটূক্তি করেন। পরে বিচারক উভয় পক্ষকে থামিয়ে দেন।

এদিকে, হট্টগোলের পর শুনানি ফের শুরু হলে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আদালতের বাইরে বকশীবাজার মোড়ে কান্ট্রি হোটেলের সামনে বিকট শব্দে পর পর তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে আদালতের ভেতরে ও বাহিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

চকবাজার থানার এসআই বারিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুপুর প্রায় সোয়া ১২টার দিকে পর পর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণে চকবাজার মোড় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হরতাল-অবরোধ সমর্থনকারীরা এ ককটেলগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিস্তান থেকে একটি বাস নিউমার্কেটের দিকে যাচ্ছিল। চকবাজার মোড় এলাকায় কান্ট্রি হোটেলের সামনে পৌঁছালে বাসটির পেছনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। আলিয়া মাদ্রাসার ভেতর থেকে ককটেল তিনটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।