Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অ্যামাজনের মাধ্যমে শিশু পর্নোগ্রাফি বিক্রির অভিযোগ

amazon-japanযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অল-লাইন শপিং জায়ান্ট অ্যামাজনের এক কর্মীর বিরুদ্ধে শিশু পর্নোগ্রাফি বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

টাইমস অব জাপান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

chardike-ad

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যামাজনের ১ কর্মীর বিরুদ্ধে শিশু পর্নোগ্রাফি বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জাপানি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, অ্যামাজনের জাপান ইউনিটের ১ কর্মী শিশু পর্ণোগ্রাফি বাজারজাত করণের সঙ্গে জড়িত।

অ্যামাজন ডটকমে বিক্রির জন্য অন-লাইনে একটি গ্রাফিক্স ছবি সম্বলিত বইয়েরর পোস্ট দিয়েছিল অ্যামাজনের ১ কর্মী।

ওই বইয়ের পোস্টে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের নগ্ন ছবি ছাপা ছিল।

পুলিশের বরাত দিয়ে জাপানি সংবাদ সংস্থা জিজি প্রেস এবং আশাহি জানিয়েছে, যে ক্রেতারা অনলাইনে ওই বই কিনেছিলেন তারা বইটি ফেরৎ দিয়ে এতে শিশু পর্নোগ্রাফি আছে এমন অভিযোগ তোলেন।

কিন্তু অজ্ঞাতনামা ওই কর্মী অনলাইন স্টোরে তা এটি পুনরায় তালিকাভুক্ত করেন। পুলিশ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারেনি।
তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে আরও একজনের ওপর নজর রাখছে।

এর আগে জাপানের কয়েকটি অন লাইন সাইটে শিশু পর্ণোগ্রাফি বাজারজাত করণের সঙ্গে জড়িত ১০ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
ওই ঘটনার তদন্তের সময় অ্যামাজনের কর্মীদের শিশু পর্ণোগ্রাফি বাজারজাত করণের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি খুঁজে পায় তদন্ত দল।

অ্যামাজন কিংবা পুলিশ এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে অ্যামাজন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিক্রির জন্য অ্যামাজনে পোস্ট করা যে কোন পণ্য জাপানি আইন মেনেই করা হয়।

সম্প্রতি বিবিসি জানায়, জাপানে শিশু পর্নের এক বিশাল বাজার আছে। কমিকস-কার্টুনের নামে তা বিক্রি হয় সেখানে।

বিবিসি ওই প্রতিবেদনে জানায়, জাপানে ‘ম্যাঙ্গা’ আর ‘এনিমে’ নামের কমিকস-কার্টুনের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি। এর প্রকাশনা এক বিশাল শিল্প। জাপানে এই ম্যাঙ্গা শিল্প বছরে সাড়ে ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যবসা করে।

এর কোনো কোনোটিতে অত্যন্ত রগরগে যৌনদৃশ্যে শিশু চরিত্রদের ব্যবহৃত হতে দেখা যায় – যা আজও নিষিদ্ধ নয়।

জাপানে ২০১৪ সালে ‘আসল’ শিশু পর্নোগ্রাফির ছবি রাখা, বিতরণ বা তৈরি করা নিষিদ্ধ করে আইন করা হয় পার্লামেন্টে।

সে সময় এই ম্যাঙ্গা বা এনিমেতেও ১৮ বছরের কম বয়স্ক চরিত্র রাখা নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

কিন্তু দীর্ঘ বিতর্কের পর জাপানি পার্লামেন্ট তা না করার সিদ্ধান্ত নেয়।