আগামীকাল মঙ্গল ও পরের দিন বুধবার হরতাল কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি দেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে এই হরতাল বলে বিবৃতি উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনায় (রিভিউ) জামায়াত নেতা মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের করা আবেদন খারিজ করে রায় দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে তাকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশই বহাল থাকল।
সকাল নয়টা ১০ মিনিটের দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রিভিউ আবেদনে এই রায় দেয়। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
এর পরপরই গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে দুদিনের হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ।
তিনি বলেন, ‘সরকার জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে দলটির নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অস্থির হয়ে পড়েছে। মিথ্যা, সাজানো বায়বীয় অভিযোগে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকার ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে।’
ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘এরপর দলীয় লোকদের দিয়ে সাক্ষ্য দিয়ে সরকার তাকে হত্যা করার জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার ব্যবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘দেশবাসী আশা করেছিল রিভিউ আবেদনে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। আজ (সোমবার) আদালতের রায়ে দেশবাসী হতাশ হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুহাম্মদ কামারুজ্জামান উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এ বয়সের একজন তরুণের বিরুদ্ধে সরকারের আনীত অভিযোগ কত গভীর ষড়যন্ত্রমূলক তা সকলের নিকট স্পষ্ট!’
মকবুল আহমাদ দাবি করেন, ‘মুহাম্মদ কামারুজ্জামান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তবে সরকার নেতৃবৃন্দকে হত্যার মাধ্যমে নেতৃত্ব শূন্য করে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার যে ষড়যন্ত্র করছে, দেশের জনগণ তা কখনো বাস্তবায়ন হতে দেবে না।’
তিনি শান্তিপূর্ণভাবে জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা এবং দেশবাসীকে হরতাল পালনের আহ্বান জানান।