Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বস্তিবাসীর জন্য দৈনিক ২৫০ টাকা কিস্তিতে ফ্ল্যাট !

flat
প্রতিকী

দৈনিক ২৫০ টাকা থেকে ২৭৫ টাকার কিস্তি ব্যাংকে জমা দিয়ে বস্তিবাসী ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা একটি ফ্ল্যাটের মালিক হবেন। এ ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৩৫০ বর্গফুট থেকে ৪৬৫ বর্গফুট।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এ ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে। এ জন্য দু’টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দু’টি প্রকল্পে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৬ কোটি ১৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

chardike-ad

আজ বুধবার মিরপুর এলাকায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নেওয়া কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে মিরপুর কালশী মোড়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান।

এর আগে মন্ত্রী মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ১২ দশমিক ২১ একর জায়গার ওপর এক হাজার ৪০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প ও একই সংস্থার ১৬৮ একর জমির সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স ম গোলাম কিবরিয়ার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বস্তিবাসী ও নিম্নআয়ের লোকদের জন্য নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটে দু’টি বেডরুম, একটি ড্রয়িংরুম, রান্নাঘর ও একটি টয়লেট থাকবে। যাঁরা এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাবেন তাঁরা কিস্তির টাকা পরিশোধ করে ফ্ল্যাটের মালিক হবেন। বস্তিবাসী ও নিম্নআয়ের মানুষের অবস্থার উন্নয়নে সরকার এ প্রকল্প গ্রহণ করছে। যেসব বস্তিবাসীদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হবে সেখানে আর বস্তি করতে দেওয়া হবে না। এ ভাবে ঢাকা শহর থেকে বস্তি নির্মূল করা হবে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বস্তিবাসীরা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করে। তাদের পিছিয়ে রেখে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। যে অল্প টাকার কিস্তি নেওয়া হবে তা পরিশোধ করার সক্ষমতা নিম্নআয়ের লোকদের রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লাহ। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উল্লেখ্য বস্তিবাসী ও নিম্নআয়ের লোকদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের যে দু’টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তার একটি মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে বাউনিয়া বাঁধের পাশে নির্মাণ করা হবে। এখানে দুই হাজার ৬০০ বাস্তুহারার জন্য ছয়তলার নয়টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৩৫০ বর্গফুট এবং এখানে ৪৩২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এ জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অপর প্রকল্পটিও একই সেকশনে নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পে ছয়তলার ২৭টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৪৬৫ বর্গফুট এবং এখানে ৬৪৮টি ফ্ল্যাট থাকবে।

এ ছাড়াও স্বল্প ও মধ্যআয়ের লোকদের জন্য মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে ১২ দশমিক ২১ একর জমির ওপর ১০টি ১৪ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে মোট এক হাজার ৪০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ১৫৪৫ বর্গফুটের ৫২০ টি,১৩৪৫ বর্গফুটের ৪১৬টি এবং ৭৮৪ বর্গফুটের ১০৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এ জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ৭০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

সুত্রঃ প্রথম আলো