Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এয়ার টিকিট কিনতে ‘টিআইএন’!

tinবিদেশ ভ্রমণে বিমানের টিকিট কিনতে আগামীতে আপনার টিআইএন (ট্যাক্স পেইয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) থাকার প্রয়োজন হতে পারে। এয়ার টিকিট ক্রয়ের সময় টিআইএন দেখানো বাধ্যতামূলক করে একটি প্রস্তাব আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে উল্লেখ থাকতে পারে। শুধু তা-ই নয়, বড় ধরনের কোনো কেনাকাটা করার জন্যও আবশ্যিক হতে পারে টিআইএন।

অর্থনীতি নিয়ে কাজ করে এমন এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে দেয়া হয়েছে। পিআরআই পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের ব্যবস্থা অবলম্বন করলে আগামীতে আয়কর আদায়ের হার অনেক বাড়ানো সম্ভব। বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী অর্থবছরের বাজেটে এয়ার টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে টিআইএন দেখানো বাধ্যতামূক রেখে একটি প্রস্তাব রাখা হচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

chardike-ad

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা শুধু এই প্রস্তাবই দেইনি, আরো অনেক প্রস্তাব দিয়েছি। এ ধরনের প্রস্তাব দেয়ার পেছনে যৌক্তিকতা হচ্ছে, দেশের সব পরিণত নাগরিকদের করের আওতায় নিয়ে আসা। এতে আয়কর খাতে রাজস্ব আয় প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, দেশ থেকে প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন লোক এয়ার টিকিট কেটে বিদেশ ভ্রমণ করেন। তাদের অনেকের টিআইএন থাকলেও বেশির ভাগেরই হয়তো টিআইএন নেই। এখন এই লোকদের টিআইএনের আওতায় আনতে পারলে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব।

২৫ বয়স ঊর্ধ্ব পাসপোর্টধারীদের টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশ থেকে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ বাংলাদেশী বিভিন্ন কারণে বিদেশে গমণ করেন। এদের বেশির ভাগেরও বয়স ২৫ বছর ঊর্ধ্বে। এদের অনেকের টিআইএন রয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগেরই কোনো টিআইএন নেই। এসব মানুষকে যদি টিআইএনের আওতায় নিয়ে আসা হয় হবে তাদের কাছ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ আয়কর আদায় করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে ন্যূনতম আয়কর তিন হাজার টাকাও করেও যদি তারা দেন তা হলেও আয়কর আদায় অনেকে বেড়ে যাবে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কতবার বিদেশ গমন করলেন তারও একটি পরিসংখ্যান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের(এনবিআর) কাছে থাকবে। তাদের লাইফস্টাইল সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে।

তবে তিনি বলেন, বিষয়টি কার্যকর করতে হলে বেশ খানিকটা অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ অনেক বয়স্ক মহিলা ও পুরষকে দেখা যাবে তারা তাদের সন্তানের ওপর নির্ভরশীল। এরা আবার কেউই কর দেয়ার উপযুক্ত নন। এদের অনেকে বিভিন্ন কারণে বিদেশ যেয়ে থাকেন। তাদের কিভাবে টিআইএন আওতায় নিয়ে আসায় যায় তা নিয়ে একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

চলতি অর্থবছরে এনবিআর আওতায় এক লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় না হওয়ার কারণে এই অঙ্ক সংশোধন করে এক লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের মধ্যে আয় ও মুনাফার ওপরই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। অন্য দিকে আগামী ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এনবিআর খাতে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হচ্ছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৬৫০ কোাটি টাকা।