সিউলে দক্ষ কর্মী পাঠানোর জন্য ২০১৩ সালে চতুর্থ রাউন্ড স্পেশাল সিবিট (কম্পিউটার বেইজ টেস্ট) পরীক্ষা শুরু হবে চলতি মাসের ২৭ থেকে ২৯শে মার্চ। তিনি আরও জানান, দেশটির মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক বাংলাদেশকে জানিয়েছেন সরকার টু সরকার চুক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা এ বছর বাংলাদেশ থেকে কম সংখ্যক কর্মী নেবেন। কারণ হিসেবে বলেছেন বাংলাদেশের জন্য যে পরিমাণ কোটা বরাদ্দ রয়েছে তা পূরণ হয়েছে। এখানে তিনি উল্লেখ করেছেন একজন কর্মী প্রথম তিন বছরের চুক্তিতে কোরিয়ায় যান। পরে ওই কর্মীর চুক্তি শেষ হলে তিনি দেশে ফেরত না এসে কোরিয়ায় অবৈধ হিসেবে থেকে যাচ্ছেন। আর এ কারণে কোরিয়া বাংলাদেশের বেশি কর্মী নিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। পৃথিবীর যে কোন দেশ থেকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারেন। এরপর লটারিতে অংশগ্রহণ করতে হয় তাকে। কোরিয়ায় যেতে হলে একজন কর্র্মীকে অবশ্যই কোরিয়ান ভাষা জানতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া পৃথিবীর ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে। দেশগুলো হচ্ছে-ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন। সমপ্রতি সিউলে বাংলাদেশ, ভিয়েতনামসহ তিনটি দেশের কর্মীরা অবৈধ হওয়ায় এসব দেশ থেকে কম সংখ্যক কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । বিদেশে কর্মী অবৈধ ঠেকানোর বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, স্বাভাবিকভাবে অনেক কর্মীই প্রবাসে অবৈধ হয়ে যান। যখন অধিক বেতনে তিনি আরেকটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে চলে যান। জি টু জি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে কর্মী বিদেশে গেলে তাদের জন্য কিছু নিয়মের সুপারিশ করেন তিনি। এক্ষেত্রে স্কিম অফ ইন্স্যুরেন্স অথবা সিকিউরিটি মানি তহবিল বন্ড হিসেবে রাখা। যখন ওই কর্মী তার চুক্তি শেষ করে বিদেশ থেকে দেশে চলে আসবে তখন তাকে টাকা ফেরত দিতে হবে। এছাড়া গ্রহীতা দেশের জন্য তার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার জমাকৃত টাকা থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া।
এছাড়াও বিএমইটি’র মাধ্যমে অদক্ষ ও আধা দক্ষ কিছু কর্মী দেশটিতে গেছে। তার পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ২৭ হাজার ২০২ কর্মী সেখানে যান। এর মধ্যে ২০১২ সালে ১৪৪৭ জন, ২০১১ সালে ২০২১ জন, ২০১০ সালে ২৬৯৯ জন, ২০০৯ সালে ১৪৭৪ জন, ২০০৮ সালে ১৫২১ জন, ২০০৭ সালে মাত্র ৩৯ জন, ২০০৬ সালে ৯৯২ জন ও ২০০৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ২২৩ জন।