টুর্ণামেন্টের সাড়া জাগানো দল পাজু ক্রিকেট টিমকে হারিয়ে মাত্র ৮ রানে হারিয়ে ইপিএস ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের শিরোপা জয় করেছে কিং অব সংউরি। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে পাজু হারলেও পুরো টুর্ণামেন্টে দুর্দান্ত খেলে জয় করে নিয়েছে দর্শকদের মন। অসাধারণ একটা ফাইনাল উপভোগ করেছে কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলা দেখতে যাওয়া দর্শকরা।
কিং অব সংউরি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভার খেলে ১০২ রানে অলআউট হয়ে যায়। সংউরির পক্ষে আলামিন সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন। পাজুর পক্ষে মশিউর সর্বোচ্চ ৩উইকেট নেন। ১০৩ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৯৪ রান করে অল আউট হয়ে যায় পাজু ক্রিকেট টিম। টান টান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা সবসময় জিইয়ে রাখলেও শেষের দিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচ আর ধরে রাখতে পারেনি পাজু। ওপেনার মুন্না সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন। সংউরির আলামিন ৩উইকেট নেন। খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার শফিক এবং জিল্লু। ধারাভাষ্যকার হিসেবে দর্শকের আনন্দ দেন তোফায়েল এবং মারুফ আহমেদ ইফতি।
ইপিএস ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনালের জন্য নির্ধারিত আনসানের ছোট মাঠ ‘ওয়াদে’ যেন বাংলাদেশের একটি স্টেডিয়াম। সকাল থেকেই ফাইনালে উঠা কিং অব সং উরি এবং পাজু ক্রিকেট টিমকে সমর্থন করার জন্য দর্শকদের উপস্থিতি এবং সমর্থন ছিল উল্লেখ করার মতো। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলফিকার হাসান এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা সকাল থেকে পুরো খেলা উপভোগ করেছেন। বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়ার নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ এবং দর্শকরা দুই দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়েছেন।
ফাইনাল খেলা শেষে একটি মনোমুগ্ধকর প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ইপিএস কমিউনিটিকে হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নেয় বাংলাদেশ দূতাবাস। পুরো টুর্ণামেন্টের স্পন্সর ছিলো কোরিয়ার স্বনামধন্য হালাল পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আল মাইয়িদা মুসলিম ফুড।
স্কোরকার্ডঃ
কিং অব সংউরি- ১০২/১০ (আলামিন ৩৭)
পাজু ক্রিকেট টিম- ৯৪/১০ (মুন্না ২৫)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ- আলামিন (৩৭রান এবং ৩উইকেট), কিং অব সংউরি
ম্যান অব দ্য টুর্ণামেন্ট-আকাশ (১০২রান এবং ৯উইকেট), পাজু ক্রিকেট টিম